গ্রামে ঘর-বাড়ি নির্মাণে লাগবে অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২১, ০৭:৩১ পিএম | আপডেট: ০৫ মে ২০২১, ১১:৫৮ পিএম

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শহরের মতো গ্রামেও যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। নিরাপদ, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শুধু নগর নয়, পরিকল্পিতভাবে গ্রামকে গড়ারও উদ্যোগ নিতে হবে বলেও মনে করেন মন্ত্রী।

বুধবার (৫ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ‘মেয়র সংলাপ : নিরাপদ, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নগর’ বিষয়ক ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ তথ্য জানান। সেভ দ্য চিলড্রেন এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এ সভার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দর্শনের ফলে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। তাই এখন থেকেই গ্রামকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে। গ্রামেগঞ্জে কোথাও কেউ যদি বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, মসজিদ-মাদরাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লাব কিংবা অফিস-আদালতসহ যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে চায়, তাহলে অবশ্যই একটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই পারে। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণ ঠেকানো যাবে না। ইউনিয়ন পরিষদকে এ বিষয়ে ক্ষমতায়নের করার পর তারা যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে সেজন্য উপজেলা পরিষদকে সংযুক্ত করা হবে।’

‘কেউ যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোনো অবস্থায় পূর্বানুমতি ব্যতীত কৃষি জমিতে বাড়ি-ঘর বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা নির্মাণ করতে দেয়া যাবে না।’

রাজধানীতে জোনভিত্তিক বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাসসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের বিল নির্ধারণ করার ওপর পুনরায় গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গুলশান, বনানী-বারিধারা এলাকার ন্যায় যাত্রাবাড়ী বা স্বল্পআয়ের মানুষ বসবাসরত এলাকার ইউটিলিটি বিল সমান হতে পারে না এবং এটা নির্ধারণ করা যুক্তিসঙ্গতও হবে না।’

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নাগরিক সেবার নামে যত্রতত্র রাস্তা কেটে জনদুর্ভোগ তৈরি না করে সরকারের সব সংস্থা বা দফতরের সমন্বয় করে জনসেবা এবং নগরের উন্নয়ন করতে হবে।’

রাজধানীর ৩৯টি খালসহ সব দেশের বড় শহরগুলোর আওতাধীন খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট চালু করে সৌন্দর্যবর্ধন ও নাগরিকবান্ধব করতে সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের পরামর্শ দেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আদিল মোহাম্মদ খানের সঞ্চালনায় সংলাপে ঢাকা উত্তর সিটি, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়ররা অংশগ্রহণ করেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh