সুনামগঞ্জে হত্যার ঘটনায় নারীসহ আটক ৬

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ মে ২০২১, ০৮:৪১ পিএম

হত্যার ঘটনায় আটক সদস্যরা। ছবি: সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

হত্যার ঘটনায় আটক সদস্যরা। ছবি: সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামে একটি বিল থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ছয় টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক নারীসহ ছয়জনকে আটক করেছে র‌্যাব। 

আটককৃতদের বুধবার (৫ মে) আদালতে সোপর্দ করলে তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন বলে জানান, দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুর রহমান।

আটককৃতরা হলেন- ইসলামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের স্ত্রী আল বাহার বেগম (৩৫), ভাঙ্গাডহর গ্রামের মৃত জলধর দাসের সত্যরঞ্জন দাস (৫৫), নরুত্তমপুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৫), দাউদপুর গ্রামে মৃত তোয়াহিত মিয়ার ছেলের নাজমুল হুসাইন (৪৯), নরুত্তমপুর মুসলিম উল্লাহর ছেলে লুৎফর রহমান (৩৫) ও ভাঙ্গাডহর গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে আ. মালেক (৩০)। 

মঙ্গলবার (৪ মে) র‌্যাব সদস্যরা দিরাইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে রাতে তাদের আটক করে দিরাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

এর পূর্বে গত ১ মে রাতে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামের বিলের একটি ডোবা থেকে মস্তক-বিহীন পাঁচ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সকালে এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে লাশের ক্ষতবিক্ষত মাথা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-৯ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আটক ছয়জন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাউদপুর গ্রামের মো. কবির হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। দুদু মিয়ার সাথে কবিরের আর্থিক লেনদেন নিয়ে শত্রুতার জের এবং দুদু কর্তৃক কবিরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও অপমানিত হওয়ায় কবির সহযোগীদের নিয়ে দুদুকে হত্যা করে। পরে লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে বিলে ফেলে দেয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহদের আটক করা হলেও মূল হোতা আটককৃত নাজমুলের ভাই কবির মিয়া ও তার সহযোগী ভাঙ্গাডহর গ্রামের দোলন মিয়া পলাতক রয়েছে।

দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, ছয় টুকরা অজ্ঞাতনামা লাশটি নিখোঁজ দুদু মিয়ার হতে পারে বলে সন্তানদের দাবি। তবে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাবে না। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে র‌্যাব ছয় জনকে আটক করে মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। আমরা তাদের বুধবার আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১ মে রাতে দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামের বিলের একটি ডোবা থেকে মস্তক-বিহীন পাঁচ টুকরো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সকালে এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে লাশের ক্ষতবিক্ষত মাথা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশের পরিচয় জানা যায়নি। তবে গত ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুর ২টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন মঙ্গলপুর গ্রামের

দুদু মিয়া (৪১)। টুকরো টুকরো লাশগুলো উদ্ধারের পর লাশের পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখে স্ত্রী,সন্তানরা দুদু মিয়ার লাশ বলে দাবি করেন। পরে দিরাই থানার এসআই আজিজুর রহমান অজ্ঞাত লাশের টুকরো উদ্ধার ও জড়িত ছয়জন আটকের ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh