ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২১, ০৯:৫০ এএম
নভেল করোনাভাইরাস দিন দিন আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। আরো কতদিন এই সংক্রমণ চলবে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরাও কোনো আন্দাজ করতে পারছেন না। সবচেয়ে মুশকিল হলো- করোনা পজিটিভ হলেই বেশিরভাগ মানুষের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে, কিন্তু বিপদের মোকাবিলা তো করতেই হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাবার পাশাপাশি সঠিক ডায়েট করতে হবে। কোভিড আক্রান্ত হলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো দরকার।
কোভিডসহ যেকোনো ভাইরাল জ্বর হলে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও জলীয় খাবার খেতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। স্যুপ, টাটকা ফলের রস, ডাবের পানি, লেবুর সরবত, দইয়ের ঘোল, পাতলা ডালের সাথে দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার পরামর্শ দেয়া হয়।
দ্রুত সেরে ওঠার জন্য দরকার প্রোটিন
সকালের নাস্তা, মধ্যাহ্ন ভোজন ও রাতের খাবার তিনবারের পথ্য প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়া উচিত। তার মানে এই নয় যে কষা মাটন দিয়ে লুচি খেতে হবে। বিভিন্ন ডাল, ডিম, মুরগি, মাছ, ছানা প্রোটিনের ভাল উৎস। বাড়িতে অল্প তেলে রান্না করা মুরগি, মাছ, ডিমসহ অন্য প্রোটিন খেতে হবে। করোনা সংক্রমণের কারণে শরীরের অভ্যন্তরে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়, তা পূরণ করতে প্রোটিন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।
তবে চিংড়ি, কাঁকড়া জাতীয় সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যাবে না। এই সময় হজম শক্তি কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়।
আমাদের দেহের প্রতিদিন ৭৫-১০০ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। আমরা যদি আমাদের ডায়েটে ডাল, শিম, দুধ ও দুধজাত পণ্য, সয়া, বাদাম, ফল এবং সবুজ শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করি তবে এর থেকে প্রয়োজনীয় পরিমাণ প্রোটিন পেতে পারি। পুষ্টিকর খাবার খেয়ে মন ভালো রেখে দ্রুত সেরে উঠুন।
ভালো ঘুমের দরকার
রাতের খাবার সাড়ে ৮টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে হালকা মাশরুম, ভুট্টা বা ভেজিটেবল স্যুপ খেলে একদিকে ঘুম ভাল হবে অন্যদিকে পুষ্টির ঘাটতি মিটবে। করোনা সংক্রমণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয় ফলে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও মিনারেলস। - এই সময়