স্বর্ণা চৌধুরী
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২১, ০৫:৩৫ পিএম
এবারের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ছিল অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে ভিন্ন। সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রাতিষ্ঠানিক উত্থান, ব্যক্তিগত আক্রমণ, দল-বদল থেকে শুরু করে হামলা, মামলা, খুন কোনো নাটকীয়তারই অভাব ছিল না। সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ। এসবের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) রাজ্যে ভিত্তি গড়তে পারলেও পশ্চিমবঙ্গ অন্তত এখনই উত্তরপ্রদেশ হয়ে উঠছে না। সেইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের জনগণ যে কথিত মোদি ম্যাজিকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েননি, সেটুকুও এই নির্বাচন দেখিয়ে দিয়েছে। সেখানে এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে আছেন সর্বজনবিদিত ‘দিদি’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব সংশয় কাটিয়ে তার নেতৃত্বে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ৫ মে টানা তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৯ এপ্রিল সন্ধ্যার পর অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল জয় পেতে যাচ্ছে। অনেক সমীক্ষায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার কথাও বলা হচ্ছিল। তবে ২ মে ফল ঘোষণার পর সেই সমীক্ষাকে ছাপিয়ে জয়ের রেকর্ড গড়ে দিদির দল। ২৯৪ আসনের মধ্যে দুটি আসনে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। ভোট হয়েছে ২৯২টিতে। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩ আসনে জয় পায়। আর বিজেপি পায় ৭৭টি আসন। সেদিন সন্ধ্যায় কালীঘাটের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে দিদি বলেন, ‘এতটা পাব ভাবতেও পারিনি। মা-বোনেরা ঢেলে দিয়েছেন, সংখ্যালঘু ভাই-বোনেরা ঢেলে দিয়েছেন।’ তবে কোভিড পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে দলের কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেছেন, ‘শুধু একটা অনুরোধ থাকবে, বিজয় মিছিল না করে মানুষের পাশে দাঁড়াই। স্যালিউট টু মাই নেশন অলসো। মাই মাদারল্যান্ড। নাও বেঙ্গল উইল সেভ দ্য কান্ট্রি। বাংলাই দেশকে বাঁচাবে। আমি এটি বলতে গর্ববোধ করছি।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়তে যে বৃহৎ রাজনৈতিক জোটের কথা ভাবা হচ্ছে, তার পরিকল্পনা মাথায় রেখেই মমতা ‘বাংলা দিয়ে দেশ বাঁচানোর’ কথা বলেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরতে চাইছেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় জনগণের নিত্যদিনের সমস্যা সমাধানের বক্তব্য না তুলে ধরে সাম্প্রদায়িকতা, মুসলিম বিদ্বেষ, বহিরাগত তত্ত্ব, এনআরসি দিয়ে প্রচারণা সাজিয়েছিল বিজেপি; তখন মমতা বন্দ্যোপাধায়ের হাতে ছিল একটাই মাত্র তুরুপের তাস- করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের অবহেলা ও পরিকল্পনাহীনতা। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর ভারতের প্রতিটি রাজ্য যেন মৃত্যুপুরী হয়ে ওঠে। পশ্চিমবঙ্গেও বেড়েছে মৃত্যু ও শনাক্তের হার। তবে তা বিজেপি শাসিত অনেক রাজ্য থেকে ভালো অবস্থায় রয়েছে। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকেও মহামারি মোকাবেলায় তেমন জোরালো ও সমন্বিত কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর এ বিষয়টিকে প্রধান করেই প্রচারণা চালাতে থাকেন মমতা। মানুষের কাছে তার জীবনের চেয়ে বড় তো কিছু নেই। তাও যখন মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা টিভির পর্দা খুললেই দেখতে পাচ্ছে লাশের সারি, স্বজন হারানোর আহাজারি; তখন তা জনমত গঠনেও যে প্রভাব ফেলবে, তা বলাই বাহুল্য। অন্তত পশ্চিমবঙ্গে শেষ কয়েক রাউন্ডের ভোটে এ প্রচারণার প্রভাব ছিল খুব স্পষ্ট।
তাই তো ভোটে জেতার পর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘কোভিডের ঝড়ও আমরা সামলে নেব। এটুকু নিশ্চিত বলব, বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন সবাইকে দেব। আমি দাবি করব, ভারতের ১৩০ কোটি মানুষের কাছে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিতে হবে।’
প্রশ্নবিদ্ধ মোদি ম্যাজিক
পশ্চিমবঙ্গের মসনদ দখলের লড়াইয়ে আদাজল খেয়ে লেগেছিল গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বাংলায় মোট ২২টি জনসভা করার কথা ছিল শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরই। ১২ বার রাজ্য সফরে আসার কথা ছিল তার। যদিও শেষ দিকে কোভিড-১৯ মহামারির বাড়বাড়ন্তের কারণে বেশ কয়েকটি সফর বাতিল হয়ে যায়। সবমিলিয়ে ১৮টি জনসভা করেন তিনি। ভার্চুয়াল মাধ্যমেও দিয়েছে বেশ কয়েকটি বক্তৃতা।
শুধু মোদিই নন, গত কয়েক মাস বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সেলিব্রেটিদের ভিড় লেগেছিল প্রচার-প্রচারণায়। পশ্চিমবঙ্গে কার্যত অস্থায়ী বাড়ি বানিয়ে ফেলেছিলেন সাবেক বিজেপি প্রধান ও বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেইসঙ্গে ছিলেন দলীয়প্রধান জেপি নাড্ডা, স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়- এমনকি যোগী আদিত্যনাথও। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে দেখানোর মতো কোনো মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী না থাকায় বরাবরই বিজেপির প্রচারণার মুখ ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। অর্ণব গোস্বামীরা রিপাবলিক টিভির বাংলা সংস্করণ শুরু করেছিল এ নির্বাচনকে লক্ষ্য করে, যেখানে কার্যত মোদিকে কেন্দ্র করেই বিজেপির প্রচারণা চলতে থাকে। তবে ওই কথিত মোদি ম্যাজিক কার্যত পশ্চিমবঙ্গে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। ২ মে নির্বাচনের ফল যখন আসতে থাকে, ওই মোদি ম্যাজিক ছিটকে পড়তে থাকে; যেমনটি ফাঁকা পড়েছিল বিজেপির মিডিয়া সেল। মোদির প্রচারণা চালানো আসনগুলোর বেশিরভাগেই হেরেছে বিজেপি।
সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তি
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) একাই ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৪টি পেয়েছিল। চারটি আসন জেতে কংগ্রেস এবং দুটি আসন যায় বামদের দখলে। তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ শতাংশ ভোট, বামফ্রন্ট ৩০ শতাংশ এবং কংগ্রেস ১০ শতাংশ। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি পেয়েছিল মাত্র তিনটি আসন। অথচ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে ভাগ বসায় বিজেপি। এবারের চিত্র এর চেয়েও ভিন্ন। যে পশ্চিমবঙ্গে তাদের কোনো অস্তিত্বই ছিল না কয়েক বছর আগে, সেখানে আজ তারা ৭৭ আসন নিয়ে প্রধান বিরোধী দল।
ক্ষমতায় না আসতে পারলেও ইতিমধ্যে সেখানে যে উত্থান বিজেপির হয়েছে, তাতে সাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি ও মনস্তত্ত্ব নির্মাণের ভিত গড়া হয়ে গেছে। এখানে বিজেপির প্রচারণায় বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়েছে হিন্দু সাম্প্রদায়িক মতবাদ বা দাবিগুলোয়, যা উত্তর ভারতে প্রচলিত আছে। উত্তর ভারতে প্রতিষ্ঠিত ধারণা, স্লোগানগুলো এখন পশ্চিমবঙ্গে এসেছে। ‘জয় শ্রীরাম’, ‘লাভ-জিহাদ’, ‘গো-রক্ষা’- এগুলো কোনোটিই কিন্তু বাংলার সংস্কৃতির অংশ নয়। আবার দাবি করার চেষ্টা হচ্ছে- বাংলা সংস্কৃতি হলো হিন্দু সংস্কৃতি; বাংলা ভাষাও হিন্দুদের ভাষা- মুসলমানরা এ ভাষা ‘বিকৃত’ করছে; বাঙালির ঐতিহ্য আসলে হিন্দুর ঐতিহ্য- এইভাবে একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদ আমদানি করার চেষ্টা করছে বিজেপি-আরএসএস। তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক সাজসজ্জা, যেমন- গেরুয়া পোশাক পরে মিছিলে হাঁটা, এই বিষয়গুলোকে নতুন করে তুলে আনা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতিতে। এই নতুন সাংস্কৃতিক পট-পরিবর্তনের প্রভাব নিশ্চিতভাবেই দীর্ঘমেয়াদি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এই জয় পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই এক আপাত স্বস্তির হাওয়া বইয়ে দিয়েছে। তবে অস্বস্তিও কম নয়। এবারই প্রথম কোনো উগ্র-সাম্প্রদায়িক পার্টি বিরোধী দল হিসেবে রয়েছে।
সাম্প্রদায়িকতায় বুমেরাং
অনেকেই ভেবেছিলেন, নতুন করে জনগণের প্রকৃত ইস্যু নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়ে আসা বাম-কংগ্রেস জোট এবং এতে আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) অন্তর্ভুক্তি হয়তো বাম ও কংগ্রেসের হারানো ভোট ফিরিয়ে আনতে পারবে। সেই অংকে হয়তো তৃণমূলই লাভবান হতো। তবে তেমনটা হয়নি। আর বিশ্লেষকরা এর মাঝেও সাম্প্রদায়িকতার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণই দেখছেন। কার্যত গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিজেপি ও সংঘ পরিবার মুসলিম-বিদ্বেষী প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবদুল মতিন বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি মুসলিম। অথচ উচ্চশিক্ষায় তাদের হার ৩ শতাংশেরও কম। বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম শিক্ষক রয়েছে শতকরা ১৫ শতাংশের মতো। সরকারি চাকরি বা ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে মুসলিমদের অংশগ্রহণ নগণ্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজ দলে মুসলিম নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়েছেন। ধর্মীয় নেতাদেরও কাছে টেনেছেন। তবে দেশভাগের পর থেকে এখন পর্যন্ত মুসলিমদের অগ্রসর করতে সামাজিক উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ কোনো সরকারই নেয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সে পথে এগোননি। যে কারণে ধর্মীয় নেতাদের সুযোগ দেওয়ায় বিজেপি তাকে সহজেই ‘মুসলিম তোষণ’ করার জন্য অভিযুক্ত করে। অথচ মুসলিম তোষণ তিনি কখনোই করেননি।
তবে মুসলিম তোষণের নাম দিয়েই বিজেপি-সংঘ তাদের প্রচারণায় বলেছে, এমন ‘মুসলিম তোষণ’ বাড়তে থাকলে হিন্দুরা দেশ থেকে বিতাড়িত হবেন। কার্যত মোটাদাগে একটি বিভক্তির প্রচারণা তারা চালিয়েছে। যার ফলে অনেকেই এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রদায়িক প্রচারণায় অনেকেই বিভ্রান্ত ও প্রভাবিত হয়েছেন। তবে তারা বিজেপিকে রাজ্যের ক্ষমতায় দেখতে চান না। আবার বামপন্থীদেরও ভোট দিতে চান না; কারণ তারা মুসলিমদের সঙ্গে জোট করেছে। তাহলে বিকল্প কী থাকছে? কংগ্রেসও তো বামদের সঙ্গে- তারাও বাদ। সুতরাং তৃণমূলেই যাচ্ছে তাদের ভোট। এভাবে বিজেপির ছড়ানো সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি তাদের জন্য বুমেরাং হয়েছে। পোয়াবারো হয়েছে দিদির।
দিদির জন্য চ্যালেঞ্জ
নিরঙ্কুশ জনমত, নিরঙ্কুশ দায়িত্বও চাপিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধে। এমন এক সময় তিনি তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন, যখন বিশ্বব্যাপী মহামারি চলছে, যার প্রভাবে ভারত নাকাল। তাই এটি মোকাবেলাই তার জন্য প্রথম ও প্রধান চ্যালেঞ্জ। সেইসঙ্গে সর্বজনীন জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়তে উদ্যোগ নেওয়া। যে বিভাজনের রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গকে প্রায় দ্বিখণ্ডিত করেছে, তার মোকাবেলায় সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করা। নাগরিকদের সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার বিষয়ে সচেতন করা। আদিবাসী-দলিত-মুসলমানদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির বাস্তব চিত্রটি তুলে ধরা এবং সামাজিক উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া। নয়া কৃষি ও শ্রম আইনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রাজ্যের কৃষক ও শ্রমিকদের নিজস্ব দাবি-দাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া। এনপিআর-এনআরসি বিরোধী আন্দোলনকে শক্তিশালী করা। অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বিভিন্ন অনৈতিক, সাম্প্রদায়িক অবস্থান এবং সামগ্রিকভাবে আগ্রাসী, পপুলিস্ট ও সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র সুসংহত করার চ্যালেঞ্জও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে মোকাবেলা করতে পারলেই কেবল সর্বভারতীয় স্তরে নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন দিদি।