অনুমোদনবিহীন নিম্নমানের কারখানায় তৈরি হচ্ছে সেমাই

আশিক বিন রহিম

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২১, ০১:০৪ পিএম

পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যত্রতত্র গড়ে উঠেছে নিম্নমানের লাচ্ছা সেমাই তৈরির কারখানা। বিএসটিআইসহ কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই এসব অস্থায়ী কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। যাতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত পোড়া তেল ও রং সহ মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদান। এসব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিলেও কোনোভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের খাদ্য গ্রহণে নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

পুরান বাজারে মিম বেকারি, পাঁচতারা, আলম বেকারি, রুপালি সেমাই, ভুঁইয়ার ঘাটে প্রাইম, মৈশাদী হারুন বেকারিসহ বেশ কয়েকটি সেমাই কারখানা ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি না মেনে দিন ও রাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক ও পায়ে প্লাস্টিক গামবুট থাকার কথা থাকলেও কোনো কিছুই নেই। অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকরা জড়ো হয়ে উৎপাদন কাজ করছে এবং গরমে তাদের শরীর বেয়ে পরা ঘাম মিশে যাচ্ছে উৎপাদিত সমাইয়ের সঙ্গে। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, কারখানার মালিক ও শ্রমিক কথা বলতে নারাজ। বাস্তবে সেমাই কারখানাগুলোতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ থাকলেও তা স্বীকার করছে না মালিকপক্ষ।

চাঁদপুরের মার্কেটিং কর্মকর্তা এনএম রেজাউল ইসলাম বলেন, মাহে রমজান ও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে আমরা জেলার বিভিন্ন স্থানে নজরদারি রেখেছি। জেলা মার্কেটিং অফিস কাজ করছে। পুরানবাজারের সেমাই তৈরির কারখানায় প্রতি বছর অভিযান চালাই; কিন্তু কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না তারা। বিল্লাল খানের হাজী বেকারিকে এর আগেও জরিমানা করা হয়েছে। আমরা আবারও কারখানগুলোতে অভিযান চালাবো।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুনতাসীর মাহমুদ বলেন, আমরা খুব দ্রুতই নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ মোতাবেক বাজার মনিটরিং শুরু করবো এবং খাদ্য নিরাপদ নিশ্চিতে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিব।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh