নৌদুর্ঘটনা রোধে তদন্ত কমিটির ২৩ সুপারিশ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ মে ২০২১, ১২:৪৪ পিএম | আপডেট: ১০ মে ২০২১, ১২:৪৫ পিএম

দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া স্পিডবোটটি পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ছবি : মাদারীপুর প্রতিনিধি

দুর্ঘটনায় দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া স্পিডবোটটি পরিদর্শন করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ছবি : মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরের শিবচরে কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় বালুবোঝাই বাল্কহেড ও স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ২৩টি সুপারিশ করেছেন।

দুর্ঘটনার সময় স্পিডবোটের চালক শাহ আলম নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।  

গতকাল রবিবার (৯ মে) মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন কমিটির প্রধান ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. আজহারুল ইসলাম।

নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্পিডবোট চালানোকে ওই দুর্ঘটনার মূল কারণ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহ আলম নেশাগ্রস্ত অবস্থায় স্পিডবোট চালানোর কারণেই ২৬ জন যাত্রীর প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে এবং তদন্ত কমিটি বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্পিডবোট চলাচল ও অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পেয়েছে। 

এছাড়াও তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ২৩টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হচ্ছে- স্পিডবোটে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করা এবং অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা। 

সুপারিশগুলো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিনা হবে বলেন জানিয়েছেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন।

তিনি বলেন, চালক শাহ আলম মাদকাসক্ত ছিলেন। স্পিডবোট দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল এটি। তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ২৩টি সুপারিশ করেছে। সুপারিশগুলো নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত ৩ মে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসার পথে কাঁঠালবাড়িতে নোঙ্গর করা বাল্কহেডকে সজোরে ধাক্কা দেয় একটি দ্রুত গতির স্পিডবোট। এতে প্রাণ হারায় ২৬ জন যাত্রী। এতে আহত হন স্পিডবোটের চালকসহ ৫ জন। দুর্ঘটনার পরে চালক শাহ আলমকে গুরুতর অবস্থায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রশাসনের নির্দেশনা ওই চালকরে ডোপ টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়। পরে তার ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আছে। 

মর্মান্তিক এই ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটের নৌপুলিশের এসআই লোকমান হোসেন বাদী হয়ে শিবচর থানায় ঘাটের ইজারাদার শাহআলম খান, স্পিডবোটের দুই মালিক চান্দু মিয়া, রেজাউল ও চালক শাহআলমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। 

এই ঘটনায় মাদারীপুরের জেলা প্রশাসন থেকে স্থানীয় সরকার অধিদফতরের উপ-পরিচালক আজহারুল ইসলামকে প্রধান করে ছয় সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh