ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ মে ২০২১, ১০:২৮ এএম
শিশু মাত্রই যত্নের প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাসের চিন্তা তো আছেই। গরমকাল হলো সংক্রামক রোগ ছড়ানোর সময়। কোভিড আতঙ্কের মাঝে অন্য কোনো রোগের আশঙ্কা নেই এমন নয়। ফলে জেনে রাখা জরুরি এই সময়ে কোন কোন রোগ হতে পারে। শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন রোগের উপসর্গই বা কী।
শিশু মাত্রই যত্নের প্রয়োজন তা হোক শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষাকাল। গ্রীষ্মকাল শিশুদের জন্য বেশি কষ্টকর। এসময় শিশুদের প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। গরমে শিশুরা সহজে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
এসময় কি কি রোগ হতে পারে এবং এব রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে মা-বাবার স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত।
রাইনাইটিস অ্যালার্জি : জ্বর কোন রোগ নয়, এটি রোগের উপসর্গ ।সংক্রমণ, মাম্প্স, ঠাণ্ডাসহ নানা কারণে জ্বর হয়। অতিরিক্ত গরমের কারণে শিশুদের ভাইরাস জ্বরের প্রবণতা বেড়ে যায়।
গরমের র্যাশ : তাপ বাড়লে অনেক সময়েই লাল র্যাশ দেখা যায় শিশুদের শরীরে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাটা বেশি হয়। সাধারণত ঘামাচি বা চামড়ার ওপরে লাল দানার মতো হয়। অনেক সময় ডায়াপারের কারণেও হতে পারে। অনেক সময় র্যাশ বেশি হয়ে গেলে ঘা হয়ে যেতে পারে।
পেট খারাপ : গরমের সময় শিশুদের পেট খারাপ বা ডায়রিয়া হতে পারে। শিশুর পেট খারাপ হলে তাকে ঘন ঘন স্যালাইন খাওয়াতে হবে। সেইসাথে পানি ও ডাবের পানি খাওয়াতে হবে।
চিকেন পক্স : এ সময়টায় শিশুদের চিকেন পক্স ও জলবসন্ত হয়ে থাকে। সাধারণত ১-৫ বছরের শিশুদের বেশি হয়। তবে চিকেন পক্সের টিকা নেয়া থাকলে এ রোগটি হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়।
নিউমোনিয়া : সর্দি কাশি, ঘন ঘন শ্বাস নেয়া, কাপুনিসহ তীব্র জ্বর ও বমি নিউমোনিয়ার লক্ষণ।
পরামর্শ
- শিশুদের নরম পোশাক পরাতে হবে। সদ্যজাত শিশুর শরীর উষ্ণ রাখতে তাকে ঢেকে রাখুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন ঘেমে না যায়।
- শীতল খাবার খাওয়ান। লেবুর শরবত, ফলের রস, টক দই শরীর ঠান্ডা রাখবে। তাতেও অন্যের থেকে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।
- বারবার গোসল না করালেও অবশ্যই ভালভাবে ঠান্ডা পানিতে কাপড় ভিজিয়ে গা মুছিয়ে দিন শিশুদের। দিনে একবার খুব ভাল ভাবে গোসল করান।
- অল্প কোনো র্যাশ, কিংবা হাল্কা জ্বর জ্বর ভাব দেখলেই চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
- প্রচুর পানি খাওয়ান, যেন পানিশূন্যতা না হয় ও প্রস্রাবের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে।
- গরমের সময় মশা, মাছি, পিঁপড়া ইত্যাদি পোকামাকড়ের প্রকোপ বাড়ে। এগুলো শিশুর অসুস্থতার কারণ হতে পারে। ঘর পোকামাকড় মুক্ত রাখুন।