এসি দিয়ে মালদ্বীপে পণ্য রফতানি ওয়ালটনের

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১১ মে ২০২১, ০৪:৫০ পিএম

মালদ্বীপে পণ্য রফতানিতে রানফাউন প্রাইভেট লিমিটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মালদ্বীপে পণ্য রফতানিতে রানফাউন প্রাইভেট লিমিটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য রফতানিতে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। একের পর এক দেশ যুক্ত হচ্ছে ওয়ালটনের রফতানি তালিকায়। যার সর্বশেষ সংযোজন দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। এয়ার কন্ডিশনার বা এসি দিয়ে ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে পণ্য রফতানি শুরু করলো ওয়ালটন। মালদ্বীপে পর্যায়ক্রমে রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ইত্যাদি পণ্য পাঠাবে ওয়ালটন।

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (১১ মে) মালদ্বীপের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান রানফাউন প্রাইভেট লিমিটেডের সাথে চুক্তি করেছে ওয়ালটন। ওই চুক্তির ফলে দেশটিতে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সব ধরনের পণ্য বিক্রি ও সার্ভিস দিতে পারবে রানফাউন। 

ওয়ালটনের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম। রানফাউন প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ ফাতিহ এবং মোহাম্মদ সাফিউ।

‘ডিস্ট্রিবিউটরশিপ এগ্রিমেন্ট সাইনিং’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাই কমিশনার শিরুজিমাথ সামির, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম ও নিশাত তাসনিম শুচি, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর, নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান এবং ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আব্দুর রউফ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফার্স্ট সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর এস.এম. তাসনিফ নাফি।

এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, মালদ্বীপ একটি ছোটো দেশ হলেও এর মাথাপিছু আয় অনেক বেশি। সারা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে মালদ্বীপ অন্যতম আকর্ষণ। দেশটিতে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ব্যবসা শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশে সব পণ্যের মার্কেট শেয়ারে ওয়ালটন যেমন শীর্ষে, তেমনিভাবে মালদ্বীপেও ওয়ালটন সবার পছন্দের ব্র্যান্ড হয়ে উঠবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বাংলাদেশের ওয়ালটন ও মালদ্বীপের রানফাউন প্রাইভেট লিমিটেডের মধ্যে ‘ডিস্ট্রিবিউটরশিপ এগ্রিমেন্ট সাইনিং’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান।


এডওয়ার্ড কিম জানান, বিশ্ববাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ওয়ালটন পণ্যের রফতানি। করোনার মধ্যেও চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ২০২০ সালের মোট রফতানির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ওয়ালটন। এরই প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে ১০০০ কোটি টাকার পণ্য রফতানির টার্গেট নিয়েছে ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগ। লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে আইবিইউর সদস্যরা।-বিজ্ঞপ্তি

ভার্চুয়াল ওই অনুষ্ঠানে রানফাউন প্রাইভেট লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ ফাতিহ জানান, ইতোমধ্যেই তারা বাংলাদেশ থেকে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসি আমদানি করেছেন। খুব শিগগিরই রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন, হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য নেবেন তারা। বাংলাদেশে তৈরি আন্তর্জাতিক মানের পণ্য ও তাদের আন্তরিক সেবায় মালদ্বীপের ক্রেতাদের কাছে ওয়ালটন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।-বিজ্ঞপ্তি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh