করোনা বুথ ভেঙে দিলো কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ

কক্সবাজার শহরে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও কন্টাক্ট ট্রেসিং টিমের অস্থায়ী বুথ ভেঙে দিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ নিজে উপস্থিত হয়ে বাঁশ ও বেড়ার তৈরি এই বুথটি ভেঙে দেন। এই সময় অফিসে উপস্থিত করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও কন্টাক্ট ট্রেসিং টিমের সদস্যদের লাঞ্ছিত করা হয়।

কক্সবাজার সদর উপজেলা করোনা সচেতনতা প্রচার উপ কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার সুইটি জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে কক্সবাজার শহরে ১২টি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রচারণা ও কন্টাক্ট ট্রেসিং টিম গঠন করা হয়। এই টিমটি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কক্সবাজার শহরের করোনা প্রতিরোধে কাজ করে প্রশংসিতও হয়েছে। 

ইউএনও সুরাইয়া আক্তার সুইটি আরো জানান, জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে করোনা সচেতনতা মূলক প্রচারণা ও কন্ট্রাক ট্রেসিং এর কাজ করতে শহরের ১২টি ওয়ার্ড অস্থায়ী বুথ করা হয়। শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের মাঝামাঝি লালদিঘির পাড়ে উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে বাঁশ আর ছন দিয়ে এই বুথটি নির্মাণ করা হয়। আজকে দুপুরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই অফিসটি ভেঙে দিয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।

কক্সবাজার শহরের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও কন্টাক্ট ট্রেসিং টিমের সমন্বয়ক নজিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে করোনা প্রতিরোধে আমরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সহযোগিতা করে আসছি। মানবিক এই কাজ করতে গিয়ে আজকে আমাদের প্রচারণার একটি বুথ ভেঙে দিয়ে কয়েকজন সদস্যকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক। এই মহামারিতে স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা করোনা প্রতিরোধে কাজ করছে, সারা পৃথিবী জুড়ে তাদের প্রশংসা ও সম্মান করছে, আর আজ কক্সবাজারে আমরা লাঞ্ছিত হচ্ছি।

করোনা প্রতিরোধ ও প্রচারণা বুথ ভেঙে দেয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের কউক চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ জানিয়েছেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ লালদীঘির সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করে। একই সাথে সড়কের উন্নয়ন কাজ করছে। এই সময় হঠাৎ করে রাতের আধারে লালদীঘির দক্ষিণ পাড়ে রাস্তার উপরে একটি ঘর তৈরি করা হয়েছে। এটি কে করেছে, বা কারা করেছে তা কউক কে অবহিত করা হয়নি। কউকের  অনুমতিও নেয়া হয়নি।

এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তাকে জানিয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখছেন।