নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২১, ০৯:১০ এএম
ঈদ জামাতে উপস্থিত মুসল্লিরা
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান।
শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১৯ মিনিটব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় ঈদের দুই রাকাত নামাজ। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ঈদের বিশেষ খুতবা। খুতবা শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় ঈদের প্রথম জামাত।
এর আগে সকাল ৬টা থেকে জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত আদায়ে ভিড় করে মুসল্লিরা। তাদের অনেকের হাতে ছাতাও দেখা যায়। মুসল্লিদের অনেকেই ফাঁকা ফাঁকা হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাড়াতে দেখা গেলেও অনেককে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করতে দেখা যায়। তবে মসজিদের প্রবেশ করা সবার মুখেই মাস্ক ছিল। এছাড়া জাতীয় মসজিদ এলাকায় এবং মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল। ব্যাগ নিয়ে আসা অনেককেই তারা তল্লাশি করেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের আরও চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। তৃতীয়টি হবে সকাল ৯টায়। চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। সর্বশেষ ঈদ জামাতটি হবে বেলা পৌনে ১১টায়।
দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিববুল্লাহিল বাকী নদভী। তৃতীয় জামাতের ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। এ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান।
বায়তুল মোকাররমের পাঁচ জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের বিষয়ে নির্দেশনা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বলা হয়, ইসলামি শরিয়তে ঈদের জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হলেও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত করা যাবে। এছাড়া ঈদগাহে কোলাকুলি, করমর্দন করা থেকে বিরত থাকাসহ নামাজ আদায়ে ১২ দফা নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে নির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।