ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে কল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট আব্বাসের মুখপাত্র এ কল পাওয়ার তথ্য সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এটি দুই নেতার মধ্যে প্রথম ফোনালাপ।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার মধ্যে তারা ফোনে কথা বললেন। এর আগে শুক্রবার বাইডেন এ অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে রাষ্ট্রদূতকে কাজ করতে বলেন।
অন্যদিকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘাত থামাতে আলোচনার লক্ষ্যে তেল আবিবে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের দূত হাদি আমর। উভয়পক্ষকে অস্ত্রবিরতিতে রাজি করাতে ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার কথা রয়েছে তার।
কথিত শান্তি পরিস্থিতি ফেরাতে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব বিশ্বের কূটনীতিকদের আহ্বান ও ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে আজ রবিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগমুহূর্তে মার্কিন দূতের এই তেল আবিব সফর তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এদিকে টানা পঞ্চম দিনের মতো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। শনিবারের হামলায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি হামলা প্রতিরোধ পাল্টা ইসরায়েলে রকেট হামলা করেছে গাজা উপত্যকার শাসকগোষ্ঠী হামাস।
অবৈধ দখলদারিত্বের প্রতিবাদে গত ৯ মে রাতে আল-আকসায় মসজিদে শবে কদরের নামাজ আদায় শেষে মসজিদ চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন সেখানে উপস্থিত ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা। স্বাভাবিকভাবেই তা দমাতে তৎপর হয়ে ওঠে ইসরায়েলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এ সময় বিক্ষোভকারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যকার সংঘাতে আহত হন অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি। সংঘাতের পর থেকে আল-আকসা মসজিদ ও এর সংলগ্ন এলাকা ঘিরে রাখে ইসরায়েলি পুলিশ।
এর জেরে ফিলিস্তিনের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হামাস হুমকি দেয় ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন সরকারকে। হামাসের পক্ষ থেকে আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়, ১০ মে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে মসজিদ চত্বর থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যাহার না করা হলে তার পরিণতির জন্য ইসরায়েল সরকার দায়ী থাকবে।
ইসরায়েল এই হুমকিকে আমলে না নেয়ায় ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। এরপর চলতে থাকে হামলা-পাল্টা হামলা।
অন্যদিকে শুক্রবার সংঘাত ছড়িয়েছে গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন ফিলিস্তিনের অপর অংশ পশ্চিম তীরেও। এদিন পশ্চিম তীরেও অন্তত ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত কয়েশ শ। ইসরায়েলি সেনাদের গুলি, কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেটে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘাতের শুরু থেকে গাজায় অন্তত ১৪০ জন নিহত হয়েছে। এতে ইসরায়েলেরও আটজন নিহত হয়েছে।