ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ মে ২০২১, ১১:২০ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যে অবস্থান, তাতে নিজ দলের মধ্যেই রোষানলে পড়েছেন তিনি।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, নিজ দল ডেমোক্র্যাটরা বাইডেনের মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগের কথা বলছেন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বামপন্থি উদারনৈতিক সদস্যরা ক্রমেই বাইডেনের তীব্র সমালোচনায় সরব হচ্ছেন।
নির্বাচনের আগে সামাজিক অন্যায়-অবিচার ও বর্ণবাদ রুখে দাঁড়িয়ে জনগণকে ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাইডেনের দল।
কিন্তু ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সরকারি বিবৃতিতে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে কথা বলার সেই পুরোনো ধরন ফিরে আসায় এবং মানবাধিকার উপেক্ষিত হওয়ায় দল এখন নিমজ্জিত হয়েছে কুৎসিত কোন্দলে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন টেলিফোনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বলেছেন, তিনি ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন দিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, হামাস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর রকেট হামলা ঠেকাতে নিজেকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের।
তিনি দুটি অংশেই মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং টাওয়ার-ব্লকে হামলার পরে তিনি সাংবাদিকদের সুরক্ষা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে গাজা থেকে রকেট হামলা বন্ধ করতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে বলেন বাইডেন। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব জোরদারে নিজের প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম আব্বাসের সঙ্গে কথা হয়েছে বাইডেনের।
অন্যদিকে, বাইডেনের ফোন পেয়ে গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, হামলা মধ্য পর্যায়ে আছে। আরও চলবে। যতদিন প্রয়োজন ততদিন গাজায় হামলা চলবে এবং যতটা সম্ভব বেসামরিক ব্যক্তিদের হতাহত এড়ানো হবে।
এদিকে মিশিগানের ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি রাশিদা তালিব গত শনিবারেই গাজায় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ভবনে হামলার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ইসরায়েল গণমাধ্যমকে হামলার নিশানা করছে, যাতে বর্ণবাদের হোতা নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধাপরাধ বিশ্ব দেখতে না পায়।
মেরিল্যান্ডের ডেমোক্র্যাট ক্রিস ভ্যান হোলেন বলেন, ইসরায়েলের পরিকল্পিত ফিলিস্তিন উচ্ছেদ অভিযানে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ হচ্ছে। তাছাড়া, সর্বোপরি বাইডেন প্রশাসনের মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।