ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২১, ০১:২১ পিএম
নিজাম প্যালেসে ঢুকছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি : আনন্দবাজার পত্রিকা
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী, কলকাতার সাবেক মেয়র ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিমসহ চার নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৭ মে) সকালে সিবিআই তাদের বাসভবন থেকে তুলে কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই কার্যালয়ে নেয়। আজই সিবিআই তাদের আদালতে তুলছে।
ফিরহাদ ছাড়া অন্য তিনজন হলেন সাবেক মন্ত্রী, নবনির্বাচিত বিধায়ক ও তৃণমূলের প্রবীণ নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাবেক মন্ত্রী ও নবনির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং কলকাতা পৌর করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বর্তমান বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়।
এরপরই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে সোজা উঠে যান নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায়। পরে সিবিআইয়ের ডিআইজির ঘরের সামনে তিনি চেয়ার নিয়ে বসে যান।
তিনি বলেন, ওদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। এই গ্রেফতার বেআইনি। যতক্ষণ না আমাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, নিজাম প্যালেস ছাড়ছি না।
মমতার দাবি, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে যখন তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তখন আমাকেও গ্রেফতার করতে হবে। নিজাম প্যালেসে ঢোকার আগে তিনি বলেন, দলের গ্রেফতার হওয়ায় নেতাদের দেখতে এসেছেন।
এদিকে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় ফিরহাদ বলেন, ‘নারদ মামলায় আমাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। বিনা নোটিসে আমাকে গ্রেফতার করা হলো। স্পিকারের অনুমতি ছাড়াই আমায় গ্রেফতার করা হলো। আদালতে দেখে নেব।’
২০১৬ সালের মার্চে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের ঘুষ নেয়ার এক কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৭ সালে মার্চে এই নারদা কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তের ভার দেয়া হয় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইকে।
সেই মামলায় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন চার মন্ত্রীসহ অন্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের আসামি করা হয়। কিন্তু মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মামলা চালাতে গেলে রাজ্যপালের অনুমতির প্রয়োজন হয়। সেই লক্ষ্যে সিবিআই রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চাইলে দীর্ঘদিন পর রাজ্যপাল এই চার নেতার বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমতি দেন সংবিধানের ১৬৩ ও ১৬৪ ধারামতে।
এই চার নেতার মধ্যে নতুন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম। মদন মিত্রকে এবার মন্ত্রী করা হয়নি। আর শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।