করোনার ভারতীয় ধরন ৬ জনের দেহে শনাক্ত : আইইডিসিআর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২১, ০১:৫০ পিএম

ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের নমুনা পরীক্ষা করে এ পর্যন্ত ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ভারতীয় ধরনটি শনাক্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া দেশে করোনাভাইরাসের চারটি ধরন শনাক্ত হয়েছে বলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর জানিয়েছে।

সম্প্রতি আইইডিসিআর আইসিডিডিআর,বি ও আইদেশি-র সঙ্গে যৌথভাবে প্রায় ২০০ কোভিড-১৯ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে দেশে চারটি ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতির কথা নিশ্চিত করেছে। ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে- বি.১.১.৭ (ইউকে ভ্যারিয়েন্ট), বি.১.৩৫১ (সাউথ আফ্রিকা ভ্যারিয়েন্ট), বি.১.৫২৫ (নাইজেরিয়া ভ্যারিয়েন্ট), এবং বি.১.৬১৭.২ (ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্ট)।

আজ সোমবার (১৭ মে) আইইডিসিআর এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়। 

এদিকে গত এপ্রিল মাসে ভারত থেকে আসা ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ওই ছয়জনের শরীরে ভাইরাসের ওই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টটি শনাক্ত করা হয় বলে গতকাল রবিবার (১৬ মে) আইইডিসিআর জানিয়েছে। করোনাভাইরাসের এ ধরনটির আনুষ্ঠানিক নাম দেয়া হয়েছে বি.১.৬১৭। মিউটেশনের কারণে এর তিনটি ‘সাব টাইপ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে পাওয়া গেছে বি.১.৬১৭.২ ধরনটি।

ভারতে প্রথম এ মিউট্যান্ট শনাক্ত হয়েছিল বলে একে ভারতীয় ধরন বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অন্তত ৪৪টি দেশে করোনাভাইরাসের এ ধরনটি ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ ধরনটিকে চিহ্নিত করেছে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন’ (ভিওসি) হিসেবে।

আইইডিসিআর জানায়, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) কাজ করছে। এছাড়া কোভিড-১৯ অতিমারির প্রারম্ভিক পর্যায় থেকে অ্যাক্টিভ কেস সার্চ, কোভিড-১৯ রোগ শনাক্তকরণ, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ও জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। 

সম্প্রতি প্রতিবেশি দেশ ভারতে বিশ্বের সর্বোচ্চ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আইইডিসিআর ভারত থেকে আগত ব্যক্তিদের মধ্যে রোগতত্ত্বিক তদন্ত ও সন্দেহজনক রোগীদের জিনোম সিকোয়েন্সিং করছে। এ ধারাবাহিকতায় আইইডিসিআর বিগত এপ্রিল মাসে ভারত থেকে আগত ২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জন রোগীর নমুনায় বি.১.৬১৭.২ (ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত করে। 

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আক্রান্ত রোগীদের সবাই বিগত ১ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ভারতের চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসার জন্য ভ্রমণ করেছেন। এই ছয়জনের মধ্যে তিনজন একই পরিবারের সদস্য। ছয়জনের বয়স ৭ থেকে ৭৫ বছরের মধ্যে। এরা সবাই এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশনে ছিলেন। এদের মধ্যে একজন বয়স্ক ব্যক্তি ক্যান্সারসহ অন্যান্য জটিল রোগে ভুগছিলেন এবং তিনি পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশে শনাক্ত হওয়া এই ইন্ডিয়া ভ্যারিয়েন্টের সিকোয়েন্স বৈশ্বিক ডাটাবেজ জিআইএসএআইডি (GISAID)-তে জমা দেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh