বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২১, ০৩:৪৭ পিএম
লকডাউনের কারণে বন্ধ থাকা যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের অনুমতির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে নৌ-যান শ্রমিকরা। “গরীব মারার ‘লকডাউন’ মানিনা মানবনা, অবিলম্বে যাত্রীবাহী লঞ্চ চালু কর, করতে হবে” এই স্লোগান নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় বরিশাল নৌ বন্দরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল অঞ্চলের আয়োজনে এবং সংগঠনের আঞ্চলিক সভাপতি শেখ আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার নজরুল ইসলাম, কবির হোসেন, আক্তার হোসেন, একিন আলী, আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
বিক্ষোভ পূর্ববর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, একটি ঈদ গেলো, অথচ ঈদে শ্রমিকদের এক কেজি সেমাইও কিনে দেননি লঞ্চ মালিকরা। সরকারিভাবেও কোনো সাহাজ্য সহায়তা আমাদের করা হয়নি। লঞ্চ চলাচল না করায় প্রতিটি শ্রমিক পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
বক্তারা আরো বলেন, অনতিবিলম্বে লঞ্চের ওপর আরোপিত লকডাউন তুলে না নিলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হব। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়ার জোর দাবি জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল অঞ্চলের সভাপতি শেখ আবুল হাশেম বলেন, লঞ্চমালিকরা যদি শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ না করে, সরকার যদি আমাদের দাবি মেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি না দেয় তাহলে আমরা পণ্যবাহী নৌযান অবরোধের মত কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
তিনি বলেন, লঞ্চ মালিকরা কখনোই শ্রমিকদের হয়ে কথা বলবেন না, কারণ তারা সরকার দলীয় লোক। অথচ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন করেন। এখন সল্প পরিসরে হলেও বাস চলছে। অথচ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি এসপি মাহাবুব উদ্দিন- বীর বিক্রম, বরিশালের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু শ্রমিকদের পক্ষে কোন কথা বলছেন না।
মাস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিব।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার আসাদুজ্জামান বলেন, আর অল্প কিছুদিন অপেক্ষা করবো। আমরা বলছি সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে লঞ্চ চালাবো। এরপরও অনুমতি না পেলে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।