আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২১, ০৮:৩১ পিএম
গত আট দিনে ইসরায়েলের হামলায় ৫২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া গাজা উপত্যকার প্রায় ৪৫০টি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মে) জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ সমন্বয় সম্পর্ক বিভাগ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থার মুখপাত্র জেনস লার্ক জানিয়েছেন, গাজায় জাতিসংঘ পরিচালিত ৫৮টি স্কুলে প্রায় ৪৭ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ১৩২টি ভবন পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং ৩১৬টি ভবনের ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি। এসব ভবনের মধ্যে ছয়টি হাসপাতাল ও ৯টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে।
এ সংঘাত দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ালেও সহিংসতার অবসানের জন্য শুরু হওয়া কূটনৈতিক তৎপরতায় এখনও কোনো লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়নি।
উল্লেখ্য, গাজায় ৬১টি শিশুসহ অন্তত ২১২ জন নিহত হয়েছেন অপরদিকে ইসরায়েলে দুইটি শিশুসহ নিহত ১০ জন। ইসরায়েলি জরুরি বিভাগ দেশটিতে মোট ৩১১ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে।
সোমবার রাতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলো ইসরায়েল লক্ষ্য করে ৩৩৫০টির মতো রকেট ছুড়েছে, এর মধ্যে সোমবার ছুড়েছে ২০০টি।
রকেটের এ পরিমাণকে ‘নজিরবিহীন সংখ্যা’ বলে উল্লেখ করেছে তারা। তাদের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা সিস্টেম ৯০ শতাংশ রকেট ধ্বংস করে দিয়েছে এবং তাদের বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে অন্তত ১৩০ জন ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
গাজায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই ফিলিস্তিনি যোদ্ধা এবং যে কোনো বেসামরিকের মৃত্যুর বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড পরিচালনাকারী রাজনৈতিক ও সামরিক গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ওই দাবির সঙ্গে দ্বিমত করেছে।
সোমবার দিবাগত রাতেও গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত ছিল। রাত নেমে আসার পর ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র গাজা সিটির দু’টি ভবনে আঘাত হানলে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডুলি উঠতে দেখা যায়।
মঙ্গলবার ভোররাতে গাজার যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে রকেট ছোড়ে। রকেট হামলার সতর্কতা জানিয়ে সাইরেন বেজে উঠলে ওই অঞ্চলের কয়েক হাজার বাসিন্দা ভূগর্ভস্থ আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটতে শুরু করে। তবে আগের দিনের তুলনায় এদিন গাজা থেকে কম রকেট ছোড়া হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।