গণপূর্ত-রাজউক-পাউবোর খালের দায়িত্ব পাচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২১, ১০:৩৭ পিএম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে থাকা খাল ও জলাশয়গুলো দুই সিটি করপোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হবে। একই সময় রাজধানীতে ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে হাতিরঝিলের সকল বন্ধ স্লুইসগেট খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত দেন মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (১৮ মে) মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মহানগরীর খাল এবং প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় ভার্চুয়াল সভায় সংযুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ঢাকা ওয়াসার নিকট থেকে ২৬টি খাল দুই সিটি করপোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে এবং দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুই মেয়র ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায়, খালসমূহ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরেও রাজধানীতে ১৭টি খাল রয়েছে। এই খাল ও জলাশয়গুলো ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মাঝে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী আরও জানান, ‘হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে আহ্বায়ক করে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ, সংস্থা ও দফতরের প্রতিনিধি নিয়ে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্ট প্রদান করবে। রিপোর্ট অনুযায়ী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’

এছাড়া, দুই সিটি করপোরেশন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত খাল ও জলাশয়গুলোর সংস্কার এবং রক্ষণাবেক্ষণে তাদের পরিকল্পনার কথা জানাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকা ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত খালের মতো গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রাপ্ত খালগুলো সংস্কার-সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণেও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘নগরীর অনেক বাসা-বাড়ির মালিক তাদের নিজেদের সেপটিক ট্যাংক না রেখে সুয়ারেজের লাইন সরাসরি খালে দিয়ে থাকেন। এসব বাসার মালিকরা যদি নিজেদের সেপটিক ট্যাংক না তৈরি করে তাহলে আগামীতে এসব লাইন বন্ধ করে দেয়া হবে।’

তাজুল ইসলাম জানান, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে রাজধানীর সকল খালগুলো দখলমুক্ত, সংস্কার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে পানি প্রবাহ ঠিক রাখার কোনও বিকল্প নেই। এছাড়া মশার প্রজনন ঠেকাতেও খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অত্যন্ত জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh