ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২১, ১০:৫০ এএম | আপডেট: ২৬ মে ২০২১, ১০:৫৩ এএম
নিম্নাঞ্চলগুলো অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে দফায় দফায় প্লাবিত হচ্ছে। ছবি : ভোলা প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলার লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নে গাছচাপা পড়ে আবু তাহের নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে। লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মাকসুদুর রহমান মুরাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে মনপুরার চর ফয়েজ উদ্দিনে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত পুকুরে পড়ে মারা গেছে লামিয়া নামের এক শিশু।
জেলার মনপুরা, কাজিরচর, কলাতলীর চর, ঢালচর ও চর নিজামসহ নিম্নাঞ্চলগুলো অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে দফায় দফায় প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকায় প্রয়োজনের তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্র কম থাকায় সাধারণ মানুষ ও গবাদি পশু ভোগান্তির কবলে পড়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোতাহার হোসেন জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বরাবরে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে নদী উত্তাল থাকার কারণে দুর্গম চরাঞ্চলে খাবার পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া নদী উত্তাল থাকায় সব রুটের নৌ-চলাচল বন্ধ আছে।
জেলা প্রশাসনের কাছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য নগদ ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ও ৪২ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে।
জেলার ৭ উপজেলায় ৭০৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে অন্তত ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্রের মাধ্যমে জেলায় ১০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক ইউনিয়ন এবং গ্রামপর্যায়ে মানুষদেরকে সতর্ক করছেন। জরুরী সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৬ টি মেডিকেল টিম।
এদিকে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে বহু জেলেরা এখনো উত্তাল মেঘনায় মাছ শিকার করছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকালে মেঘনার তুলাতুলি এলাকায় ৯ জন জেলে নিয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে সদর উপজেলা প্রশাসন ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।