জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো মৃত হরিণ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২১, ১০:০৬ এএম

জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনে ভেসে যাওয়া তিনটি হরিণ মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি : ইউএনবি

জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনে ভেসে যাওয়া তিনটি হরিণ মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি : ইউএনবি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস-জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনে ভেসে যাওয়া তিনটি হরিণ মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৬ মে) রাত ৮টা পর্যন্ত তিনটি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে বলেশ্বর নদ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি হরিণের পেটে বাচ্চা ছিল।

জলোচ্ছ্বাস ও পূর্ণিমার অতিরিক্ত জোয়ারে হরিণ ছাড়াও সুন্দরবনে অন্য আরো বন্য প্রাণী মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গতকাল বিকেলে সুন্দরবনসংলগ্ন বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বলেশ্বর নদে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে একটি মৃত হরিণ। স্থানীয় রাজেশ্বর গ্রামের জেলেরা হরিণটি নদীতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে বেড়িবাঁধের ওপর তোলেন। এর আগে বঙ্গোপসাগরসংলগ্ন সুন্দরবনের দুবলার চরের আলোরকোলে কোস্টগার্ড অফিসের সামনে ভেসে আসে একটি মৃত হরিণ। বনের কচিখালী অভয়ারণ্য এলাকা থেকে বিকেলে আরো একটি মৃত হরিণ উদ্ধার করে বন বিভাগ।

তবে পানিতে সুন্দরবনের বন্য প্রাণীর কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেনি বন বিভাগ। জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের মিষ্টি পানির পুকুর ও অফিসসহ বেশ কিছু অবকাঠামোর ক্ষতির তথ্য জানিয়েছে বন বিভাগ।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা ডুবে যায়। বুধবার দুপুরে জোয়ারের সময় সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে ৫ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়েছে। 

তিনি বলেন, পানির চাপে সুন্দরবন থেকে ভেসে যাওয়া মৃত হরিণগুলো উদ্ধার করে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। ইয়াসের প্রভাবে ঝড় ও জলোচ্ছাসে সুন্দরবনের ১১টি জেটি, ছয়টি মিষ্টি পানির পুকুর, বন বিভাগের দু’টি অফিস, একটি স্টাফ ব্যারাক, ১২টি রাস্তা, একটি ফুটটেইল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী সুন্দরবনের দুবলা, আলোরকোল, নারকেলবাড়িয়া, টিয়ারচর, শ্যালার চর, কটকা, কচিখালী, সুপতিসহ এলাকার বনভূমি প্লাবিত হয়। ৫-৭ ফুট উচ্চতায় পানির ঢেউ বনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh