নাগাল্যান্ড সীমান্তে গুলিবর্ষণ, পালিয়ে বাঁচলেন আসামের এমএলএ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২১, ১১:৪৫ এএম | আপডেট: ২৮ মে ২০২১, ১১:৪৭ এএম

পালিয়ে বাঁচলেন আসামের এমএলএ

পালিয়ে বাঁচলেন আসামের এমএলএ

ভারতের আসাম রাজ্যের নাগাল্যান্ড সীমান্তের একটি জঙ্গলে গুলিবর্ষণের মুখে বেঁচে ফিরেছেন কংগ্রেসের এক আইনপ্রণেতা (এমএলএ)। ঘটনার ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, এমএলএ এবং নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলিবর্ষণ শুরু হলে তারা দৌড়ে পালাতে থাকেন। পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সীমান্তে নাগাল্যান্ডের দিক থেকেই গুলি চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন সাংবাদিক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আসামের এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীসহ মারিয়ানির এমএলএ রুপজ্যোতি কুরমি এবং অন্যরা দেসোই ভ্যালি রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকা পরিদর্শনে যান, সেখানে অন্যদিক থেকে তাদের ওপর হঠাৎ করে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। তারা ওই এলাকা থেকে পালিয়ে বাঁচেন।’

ওই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জিপি সিংকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আসামের পাঁচটি জেলার সঙ্গে নাগাল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে। এগুলো হলো ছারাইদেও, শিবসাগর, জোরহাট, গোলাঘাট এবং কারবি। গত দুই দশক ধরে এসব এলাকায় নাগাল্যান্ডের দিক থেকে অনুপ্রবেশের কারণে প্রায়ই সংঘর্ষ ঘটে থাকে।

এমএলএ রুপজ্যোতি কুরমি বলেন, ‘আজ আমি অন্যদিক থেকে অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে দেসোই ভ্যালি রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় যাই। হঠাৎ করে কিছু লোক আমাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আর আমরা সৌভাগ্যক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে আসি। আমি ইতিমধ্যেই আসামের পার্লামেন্টে অনুপ্রবেশ ইস্যু তুলেছি; কিন্তু সরকার এই ইস্যু সমাধানে নাগাল্যান্ড সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে।’

জোরহাট পুলিশের প্রধান অঙ্কুর জৈন জানান, যেখানে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে সেটি বিরোধপূর্ণ এলাকা। তিনি বলেন, ‘এলাকাটি বিরোধপূর্ণ এলাকা আর কয়েক দিন আগে বনবিভাগ অনুপ্রবেশকারীদের সরিয়ে দিয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকার গ্রামবাসীরা ভয় পেয়ে যায় আর গুলিবর্ষণ শুরু করে। নিরাপত্তাবাহিনী তাদের নিবৃত্ত করেছে।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh