লকডাউনের মেয়াদ না বাড়ানোর ইঙ্গিত তথ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২১, ০৩:২৫ পিএম

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে দেশে চলমান লকডাউনের মেয়াদ না বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দুই-একদিনের মধ্যে লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন কোনো সমস্যার সমাধান নয়। জীবন ও জীবিকার মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে হয়। তবে কিছু বিধিনিষেধ অবশ্যই আমাদের মেনে চলতে হবে। 

শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে ১২টার দিকে ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে করোনা কিট প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এখানে প্রচুর মানুষ দিন আনে দিন খায়। করোনাভাইরাসের শুরুতে যারা আমাদের সমালোচনা করে তারাসহ অনেক বিদেশি মিডিয়াও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিল, বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। করোনা ও অনাহারে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। আল্লাহর অশেষ রহমত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ফলে তেমন হয়নি। করোনার ১৪ মাসে একজন লোকও না খেয়ে মারা যায়নি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কয়েক কোটি মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দল আওয়ামী লীগকে জনগণের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশনা মোতাবেক আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর্যায়ে সুরক্ষা সামগ্রী এবং খাদ্য সহায়তা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, করোনায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এজন্যে আওয়ামী লীগের এক হাজারের বেশি নেতাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচজন নেতা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সংসদীয় দলের ১২০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর কারণ হচ্ছে তারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে আবারও তারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দলকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী বাজেটে অর্থমন্ত্রীর কালো টাকা সাদা করার ঘোষণার সমালোচনা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আমি তাকে প্রশ্ন করতে চাই, খালেদা জিয়া যে কালো টাকা সাদা করেছিলেন তার কি জবাব আছে আপনার কাছে? পৃথিবীর বহু দেশেই অপ্রদর্শিত অর্থাৎ কালো টাকা টাকা সাদা করার ব্যবস্থা রাখা হয়।

এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির কো-অর্ডিনেটর সুজিত রায় নন্দীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh