ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২১, ০১:০৫ পিএম
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ হয়। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে উদ্বাস্তু হয়ে আসা অমুসলিমরা এবার ভারতের নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
ভারতের গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের ১৩টি জেলায় বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ প্রভৃতি ধর্মের বাসিন্দারা ভারতের নাগরিকত্বের আবেদন কররতে পারবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
তারা যাতে অবিলম্বে আবেদন করেন, সেই আমন্ত্রণবার্তাও দেয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তরফে। নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ ও ২০০৯ সালে প্রণীত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএসএ) অধীনে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী নয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ ও ২০০৯ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের আওতায় শিগগিরই এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত ২০১৯ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করা সম্ভব হয়নি কেন্দ্রের তরফে।
২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ হয়। এই আইনের আওতায় ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে যে সব হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পারসি ও খ্রিস্টান অর্থাৎ অমুসলিম উদ্বাস্তুরা ভারতে এসেছেন, তাদের ভারতের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হলেও তা শিগগিরই রূপায়ণ করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
এর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তৈরি করতে এবং তা প্রয়োগ করতে চলতি বছরের ৯ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাজেট অধিবেশনের সময় এই সময়সীমা বৃদ্ধি করানো সংক্রান্ত অনুমোদন মেলে পার্লামেন্টের।
উল্লেখ্য, পার্লামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিল পাস হলে তার ৬ মাসের মধ্যে তা প্রস্তুত করে ফেলতে হয়। তবে প্রয়োজনে সরকারের তরফে এই বিষয়ে সময়সীমা বাড়াতে সংসদের সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে চাওয়া যেতে পারে। কিন্তু তিনবারের বেশি সময়সীমা বৃদ্ধির আবেদন করা যাবে না। - আনন্দবাজার পত্রিকা ও হিন্দুস্তান টাইমস