বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২১, ০৫:২৫ পিএম
সাংবাদিক সম্মেলন নারী কাউন্সিলর শিউলি আক্তার। ছবি: বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরের টাকা ছিনতাই, মারধরসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এসব অন্যায়ের বিচার দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী মোংলা পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও আওয়ামী যুব মহিলা লীগের পৌর শাখার সহ-সভাপতি মোসা. শিউলি আক্তার।
শনিবার (২৯ মে) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে মোংলা শহরের চৌধুরীর মোড়স্থ ইসলামী ব্যাংক, মোংলা শাখার তৃতীয় তলা থেকে ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন আমার স্বামী সোহাগকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তার উপর নিয়ে যায়। সেখানে ইকবালসহ তার ক্যাডার মো. লিটন, মো. মিজান ও মো. ইয়াকুব মিলে আমার স্বামী সোহাগকে বেধড়ক মারপিট করে। আমার স্বামীর কাছে একটি পাটের ব্যাগে থাকা ৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার স্বামীর ডাক চিৎকার শুনে ইসলামী ব্যাংকে কাজ সেরে আমি নিচে আসলে ইকবাল আমার পড়নের কাপড় ধরে আমাকে রাস্তার উপর টেনে হিঁচড়ে ফেলে আমার শ্লীলতাহানি ঘটায়। আমার গলায় থাকা ২ ভরি ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন এবং হাতে থাকা এক ভরি ৯ আনা ওজনের ব্রেসলেট ছিনিয়ে নেয়। যার আনুমানিক মূল্য দুই লাখ ৬৫ হাজার টাকা। মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে ওইদিনই মোংলা থানায় এজাহার দায়ের করি। কিন্তু তিনদিন পার হলেও থানা পুলিশ দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইকবাল ও তার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে। উল্টো ইকবাল এখন আমাকে জোরপূর্বক মীমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছেন। আমি আমার টাকা ও আমাদের মারধরের বিচার চাই।
তিনি আরো বলেন, মো. ইকবাল হোসেনের অত্যাচারে পুরো মোংলাবাসী অতিষ্ঠ। এলাকায় তার একটি বাহিনী রয়েছে, যারা বিভিন্ন সময় স্থানীয় নিরহ মানুষদের মারধর করে। মোংলা শহরে তার জুয়ার ব্যবসা রয়েছে। মোংলায় মাদক ব্যবসা চলে ইকবালের নেতৃত্বে। চাঁদাবাজি ও মারপিটসহ এমন কোনো অন্যায় নাই যা ইকবাল করে না। ইকবাল হোসেন একজন কাউন্টার ব্যবসায়ী ছিলেন। চরম আর্থিক সংকট ছিলো পরিবারে। মাত্র কয়েক বছরে এলাকায় চাঁদাবাজি ও মদক ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে নারী কাউন্সিলর শিউলি আক্তারের স্বামী ব্যবসায়ী মো. সোহাগ, নিকট আত্মীয় আলেয়া বেগম ও লাইজু আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
মোংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, কাউন্সিলর শিউল আক্তার আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি পক্ষ এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।