ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২১, ০৬:১৭ পিএম
পানিবন্দি হয়ে আছে বিভিন্ন চরাঞ্চলের অন্তত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। ছবি: ভোলা প্রতিনিধি
ভোলায় জোয়ারের পানির পরিমাণ কমে যাওয়ায় নতুন করে চরগুলো প্লাবিত হচ্ছে না। তবে সব পানি নামতে না পারায় বহু জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে বিভিন্ন চরাঞ্চলের অন্তত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। ছোট ছোট নৌকায় ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে তাদের।
ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি এবং দমকা হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার চারদিন পরও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি চরাঞ্চলগুলোতে। সদর উপজেলার চর চটকিমারা, রাজাপুর ও মাঝেরচরসহ বিভিন্ন উপজেলার চরাঞ্চলের দুর্ভোগে পড়া মানুষদের স্থানীয় প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিরা কোনো খোঁজখবর নেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের ।
ভোলা সদর উপজেলার চর চটকিমারা এলাকার মো. হানিফ জানান, একদিন ধরে তারা পানিতে ডুবে আছে। চুলায় রান্না করতে পারে না। এ অবস্থায় কেউ কোনো খোঁজ নেয়নি।
কাওসার জানান, ঘরে ও বাড়ির চার পাশে পানি থাকায় ঘর থেকে বের হতে পারছি না। অনেক কষ্টে দিন কাটছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মোতাহার হোসেন জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী ভোলা জেলায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপুল পরিমাণ এসব মানুষের জন্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ও ত্রাণ হিসাবে এ পর্যন্ত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ১৭ লাখ টাকা। চরফ্যাশন উপজেলার জন্য ২০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হলেও অন্যান্য উপজেলার জন্য এখন পর্যন্ত কোনো চাল বরাদ্দ দেয়া হয়নি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে সাড়ে তিন হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ভোলায় পাঠানো হয়েছে। সেগুলো আসলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।