এসপি বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২১, ০৯:২৮ পিএম

 সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফাইল ছবি

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাবন্দি তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। 

শনিবার (২৯ মে) সকালে তাকে ফেনী কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কী কারণে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে এ বিষয়ে জানাননি কারা কর্মকর্তারা। তবে অভিযোগ রয়েছে, কারাগারে বসে একই মামলায় কারাবন্দি অন্য আসামিদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিলেন তিনি। তার সম্পৃক্ততা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মুখ না খুলতে বিভিন্ন মাধ্যমে আসামিদের চাপ দিচ্ছিলেন বাবুল আক্তার।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে অবস্থানের জন্য পাঠানো হয়েছে।’ তবে কি কারণে হঠাৎ করে তাকে স্থানান্তর করা হলো এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ের কাছে ওআর নিজাম রোডে সন্তানের সামনে নির্মমভাবে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ছুরিকাঘাত ও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালতের নির্দেশে মিতু হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে এলে গত ১২ মে তার মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় তারা।

এর আগে গত ১১ মে মিতু হত্যা মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চট্টগ্রাম পিবিআইতে ডাকা হয়। এরপর তাকে হেফাজতে নিয়ে পরদিন মিতুর বাবার করা মামলায় গ্রেফতার দেখায় পিবিআই। ওই দিন আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।রিমান্ড শেষে গত ১৭ মে আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্ত্রী হত্যায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকার করেন। শুরুতে রাজি হলেও তিন ঘণ্টা বিচারকের খাস কামরায় বসে থেকে বেঁকে বসেন তিনি। ওই দিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। এই মামলায় আরো তিন আসামি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh