সাফওয়ানা জাবীন
প্রকাশ: ৩১ মে ২০২১, ০৯:৪০ এএম
ফ্যাশনের সঙ্গে সঙ্গে যেন আরামটাও পুরোপুরি পাওয়া যায়। ফাইল ছবি
ভ্যাপসা গরম, প্রচণ্ড রোদ- যেভাবেই বোঝানো হোক না কেন, অনুভূতি কিন্তু একটাই। এ সময়ে পোশাক যদি আরামদায়ক না হয়, তাহলে ঘামে ভিজে একাকার হয়ে যাওয়ার উপক্রম। পড়তে হয় অস্বস্তিতে, গ্রীষ্মকালের রূপটাই বুঝি এমন।
প্রকৃতির পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরও জীবনাচরণে পরিবর্তন আসে। পরিবর্তনের এ তালিকায় পোশাকের আরামটা খুবই জরুরি। অতএব, আবহাওয়ার সঙ্গে তাল-মিলিয়ে পোশাক না পরলে অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়।
ফ্যাশনের সঙ্গে সঙ্গে যেন আরামটাও পুরোপুরি পাওয়া যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। শিফন, সুতি, ক্রেপ, জর্জেট, সিল্ক, লিনেন, ভালো মানের নেটের তৈরি পোশাকগুলোতে গরমে আরাম পাওয়া যাবে। সুতির কাপড় সব থেকে আরামের হলেও সেটি সব জায়গার জন্য মানানসই নয়। শিফনের কাপড় এ ক্ষেত্রে হতে পরে আদর্শ বাছাই। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ সবকিছুতেই আভিজাত্য নিয়ে আসবে। মানিয়ে যাবে দিনে ও রাতে দুই সময়েই।
জায়গা বুঝে কাপড় নির্বাচন করতে হবে। খুব বেশি চলাফেরা করতে হলে সুতির তৈরি পোশাক না পরাই ভালো। তাড়াতাড়ি ভাঁজ পড়ে যায়। দিনের বেলায় হালকা হলুদ, হালকা গোলাপি, বিভিন্ন শেডের প্যাস্টেল রঙগুলো দেখতে ভালো লাগবে।
গরমে ছেলেদের সেরা আরামদায়ক পোশাক হচ্ছে টি-শার্ট। বিশেষ করে কলেজপড়ুয়া বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলেদের এটির কোনো বিকল্প নেই। কারণ টি-শার্ট জিন্স, গ্যাবাডিন কিংবা অন্য প্যান্টের সঙ্গে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে যায়। আবার অনেক মেয়েও গরমে শাড়ির পরিবর্তে শর্ট ফতুয়া, শর্ট কামিজ পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। গরমে আরামদায়ক পোশাক ছাড়াও এটাকে তারা ফ্যাশন হিসেবেও ব্যবহার করে।
যারা চাকরি করেন এই গরমে পোশাকের ব্যাপারে তাদের নতুন করে ভাবতে হবে অনেক কিছুই! এমন পোশাক পরুন যাতে আপনিও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকেন আবার ক্লায়েন্টও অস্বস্তিবোধ না করে। হাফহাতা সুতি বা প্রিন্টের শার্ট, পোলো শার্ট অথবা ফতুয়ার সঙ্গে স্ট্রেইট কাটের জিন্স পরতে পারেন। অথবা সুতির ফরমাল পোশাক পরিধান করুন।
তবে খেয়াল রাখুন শার্টের কাটিং যেন আপনার জন্য আরামদায়ক হয়, একটু ঢিলা-ঢালা কাটের শার্ট পরুন। এক্সক্লুসিভ বা বেশি দামের শার্ট যত সুন্দরই হোক, এই গরমে তা স্বস্তি দেবে না।