ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০১ জুন ২০২১, ০১:০৪ পিএম
ডিআর কঙ্গোতে বন্দুকধারীদের দুই হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। ছবি : ডয়চে ভেলে
গণতান্ত্রিক প্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) পূর্বাঞ্চলে বন্দুকধারীদের দুই হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। উগান্ডা সীমান্তবর্তী দুটি গ্রামে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সাথে সম্পৃক্ত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইতুরি প্রদেশের দুই গ্রাম বোগা ও তিচাবিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। ওই অঞ্চলে ১২টির মতো সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় আছে। এর মধ্যে একটি অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) সংশ্লিষ্টরা এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে।
কিভু সিকিউরিটি ট্র্যাকার (কেএসটি) জানিয়েছে, হামলায় বোগাতে ২৮ জন ও তিচাবিতে ২২ জন নিহত হয়েছে। গোমা থেকে এই জায়গাগুলোর দূরত্ব ৩১০ কিলোমিটার। এই এলাকায় অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এডিএফ) খুবই সক্রিয়। তাদের সাথে আইএসের যোগ আছে বলে অভিযোগ। তারাই এই ঘটনার পিছনে বলে প্রাথমিকভাবে সরকারের ধারণা।
কেএসটি বলেছে, কঙ্গোয় ২০১৭ সালের পর এটাই একদিনে সন্ত্রাসী হামলায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা।
স্থানীয় এমপি জানিয়েছেন, এখনো মৃতদেহ বের করে আনা হচ্ছে। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। অনেক আহত মানুষ ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে আছেন।
জাতিসংঘের একটি সূত্র সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, আক্রমণকারীদের সাথে শান্তিরক্ষা বাহিনীর গুলি বিনিময় হয়। বোগার দুইজন সরকারি কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, যে শিবিরে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর উদ্বাস্তুরা ছিলেন, সেখানেই হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। অন্য উদ্বাস্তু শিবিরে তারা হামলা করেনি। এর আগেও ওই গোষ্ঠীর মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। আবার হলেন। মৃতদের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুও আছে।
কেএসটি গত শুক্রবার জানিয়েছিল, উত্তর কিভুতে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে এক হাজার ২২৮ জন হামলায় মারা গেছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এডিএফ ২০২০ সালে কঙ্গোয় ৮৫০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। ডিআর কঙ্গো সরকার তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। তারপর এডিএফ অনেকগুলো ছোট গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে গেছে। - ডয়চে ভেলে