নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২১, ১২:০২ পিএম
হ্যাটট্রিক করে উচ্ছ্বাসিত আলাউদ্দিন বাবু। ছবি: বিসিবি
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক উচ্ছ্বাসে ভাসলেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের পেস বোলিং অলরাউন্ডার আলাউদ্দিন বাবু।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে এই স্বাদ পান আলাউদ্দিন। হ্যাটট্রিকসহ ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার নেন ৪ উইকেট।
নতুন বল হাতে নিয়ে এ দিন ম্যাচের প্রথম ওভারেই সাফল্য পান আলাউদ্দিন। দারুণ এক ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দেন রূপগঞ্জের ওপেনার আজমির আহমেদকে। পরে প্রতিপক্ষের শেষ তিন উইকেট নেন টানা তিন বলে।
তার হ্যাটট্রিক বিস্তৃত দুই ওভারে। সেখানে প্রথম শিকার মুক্তার আলি, অষ্টাদশ ওভারের পঞ্চম বলে। এই উইকেটে যদিও বড় অবদান ফিল্ডার নাঈম ইসলাম জুনিয়রের। অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল উড়িয়ে পুল করেন মুক্তার। ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে বল ওঠে আকাশে। মিড উইকেট সীমানা থেকে অনেকটা ভেতরে দৌড়ে দারুণ ডাইভিং ক্যাচ নেন নাঈম জুনিয়র।
পরের বলটি ছিল শরীর তাক করা স্লোয়ার বাউন্সার। এবার সোহাগ গাজী স্লগ করার চেষ্টা করেন, বল তার গ্লাভসে ছোবল দিয়ে আশ্রয় নেয় কিপারের গ্লাভসে।
পরের ওভারের প্রথম বলে নাবিল সামাদকে ফিরিয়ে আলাউদ্দিন পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। অফ স্টাম্পে রাখা শর্ট বলে নাবিল সামাদ উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন, বল থাকে বৃত্তের ভেতরই। ক্যাচ নেন মিজানুর রহমান।
রূপগঞ্জ অলআউট হয়েছে ১১১ রানে। প্রথম হ্যাটট্রিকের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতে ২১ রান দিয়ে প্রথমবার চার উইকেটের স্বাদ পান আলাউদ্দিন।
২০ ওভারের ক্রিকেটে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশের পঞ্চম বোলার আলাউদ্দিন। প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন যিনি, সেই আল আমিন হোসেনের হ্যাটট্রিক আছে দুটি।
২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে আল আমিন শুধু হ্যাটট্রিকই করেননি, টানা চার বলে নিয়েছিলেন উইকেট।