তিন লাখ টাকায় দুই বোনকে ভারতে পাচার

গফরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২১, ১১:৩৯ পিএম

ভারতের বিএসএফ ওই তরুণীকে আটক করে। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিএসএফ ওই তরুণীকে আটক করে। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের দুই তরুণীকে বেশি বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে ভারতে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ওই দুই তরুণী নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবার। নিখোঁজ দুই তরুণীর একজনের বয়স ১৯ বছর, আরেকজনের ২২।

গত শুক্রবার (২৮ মে) তাদের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

নিখোঁজ দুই তরুণীর বাবা বলেন, পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে তার দুই মেয়ে দুই বছর আগে চাকরি নেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকার একটি বিস্কুট কোম্পানিতে। চাকরির সুবাদে তারা ওই এলাকাতেই বসবাস শুরু করেন। চাকরি করাকালীন মো. সুজন মিয়া (৪৫) ও মো. ইউসুফ মিয়া (২২) নামের দুজনের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। পরিচয় থেকেই ইউসুফের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে নিখোঁজ দুই বোনের বড়বোনের সঙ্গে। প্রেমের সম্পর্কের জেরে নিখোঁজ দুই বোনের বড় কাউকে জানিয়ে ইউসুফকে বিয়ে করেন।

ইউসুফ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের সামাদ মিয়ার ছেলে বলে নিজেকে পরিচয় দেন। তবে, তার এ পরিচয় সঠিক কি-না তা নিশ্চিত করতে পারেননি কিশোরীর বাবা। অপরজন সুজন মিয়ার নাম-ঠিকানাও জানাতে পারেননি তিনি।

তিনি বলেন, গত রোজার ঈদের ১০ থেকে ১২ দিন আগে মেয়েরা আমাকে ফোন করে জানিয়েছিল বাড়িতে আসবে। এর দুই থেকে তিনদিন পর থেকে তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ ছিল।

তিনি বলেন, গত মাসের শেষের সপ্তাহে ভারত থেকে পুলিশ আমাদের ফোন করেছিল। আমার একটা মেয়ে নাকি তাদের হেফাজতে আছে। অন্য মেয়েটি কোথায় আছে তা আমরা জানি না।

ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ভারতে পাচার হওয়ার পর থেকে দুই বোনকে আলাদা রাখা হতো। একদিন কোনোমতে তারা পাচারকারীরদের হাত থেকে পালাতে সক্ষম হন। গত ১৭ মে হাওড়া স্টেশন এলাকায় পুলিশের হাতে আটক হন এক বোন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কলকাতার শিয়ালদহ এলাকায় ভারতীয় সরকার পরিচালিত সেফ হোম পার্টিসিপেটরি সিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের হাতে ন্যস্ত করে।

বাংলাদেশ মহিলা আইজীবি সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বলেন, এদেশের নারীদের প্রথমে ভারতে পরে ভারত থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশগুলোতে পাচার বর্তমানে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh