কার্টুনিস্ট কিশোরের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন পায়নি মেডিকেল বোর্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২১, ০৬:০৯ পিএম

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। ফাইল ছবি

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। ফাইল ছবি

শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে আদালতকে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।

রবিবার (৬ জুন) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল প্রতিবেদন জমা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, ‘মেডিকেল রিপোর্ট জমা হওয়ার কথা শুনেছি। তবে তাতে কী আছে আমি বলতে পারছি না।’

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক গত ২০ মার্চ ঢামেকের নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমী, অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফখরুল আমিন খান ও মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. হাফিজ সর্দার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই প্রতিবেদনে কিশোরের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন না পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তারা।

গত ১০ মার্চ কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অজ্ঞাত সদস্যদের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ১৪ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ, কান, পা ও শরীরের যেখানে আঘাত পেয়েছেন বলে কিশোর জানিয়েছিলেন, সেগুলো পরীক্ষা করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিচালককে নির্দেশ দেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৫ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোর গ্রেফতার হন। কিন্তু তার তিনদিন আগে ২ মে বিকাল পৌনে ছয়টায় বাসা থেকে সাদা পোশাকধারী ১৬ থেকে ১৭ জন লোক তাকে মুখোশ পরিয়ে, হাতকড়া লাগিয়ে নির্জন-অচেনা জায়গায় নিয়ে যায়। এরপর ২ মে থেকে ৩ মে পর্যন্ত তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা এখনো অবগত না। মেডিকেল রিপোর্ট জমা দেওয়ার বিষয়ে শুানেছি, কিন্তু এর কপি আমরা হাতে পাইনি। হাতে পেলে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।’

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh