বস্তিতে ফায়ার হাইড্র্যান্ট স্থাপন করা হবে: মেয়র আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২১, ০২:৩২ পিএম

বস্তির একাংশ আগুনে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ছবি : স্টার মেইল (ফাইল)

বস্তির একাংশ আগুনে পড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ছবি : স্টার মেইল (ফাইল)

নগরের বস্তিগুলোতে ফায়ার হাইড্র্যান্ট স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের পর এ বিষয়ে বস্তিবাসীদের প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। যাতে আগুন লাগলে বাসিন্দারা দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেন। তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।

আজ মঙ্গলবার (৮ জুন) মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিদর্শন ও তাদের মধ্যে খাবার বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, বস্তিগুলোতে আমি ফায়ার হাইড্রেন্ট করে দিব। এজন্য আমি একটা বাজেট রেখেছি। আমরা প্রত্যেকটি বস্তির বিভিন্ন অংশে রাস্তায় এটা বসিয়ে দেব। এটা যদি করতে পারি এবং বস্তিবাসীকে ট্রেনিং দিতে পারি, তাহলে ইমার্জেন্সির সময়ে ফায়ার হাইড্র্যান্ট দিয়ে আগুন নেভাতে পারবে।

তিনি বলেন, আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস আসতে কিছুটা সময় লাগে। তারা ট্রেইনড হলে হাইড্র্যান্ট ব্যবহার করে দমকল বাহিনী আসার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

ডিএনসিসি এলাকায় বেশ কয়েকটি বস্তি রয়েছে এবং দায়িত্ব নেয়ার পরে কয়েকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে এর দায় কার জানতে চাইলে মেয়র আতিকুল বলেন, আমি কাউকে দায়ভার দিতে চাই না। এর একটা স্থায়ী সমাধান দরকার। বস্তি এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করে বস্তিবাসীদের নিরাপদ আবাসস্থল তৈরির মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

খাদ্য বিতরণ নিয়ে তিনি বলেন, আজ সকালেও খাদ্য সহায়তা দিয়েছি, দুপুরেও দেবো, রাতেও যাবে। একজনও যেন অভুক্ত না থাকে সে দায়িত্ব আমাদের আছে।

বস্তিবাসীদের সহায়তা দিতে গিয়ে মেযর আতিক বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা করে দেয়া হবে। এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে তিন বেলার খাবার, ঢেউটিন ও প্রায় দুই হাজার টাকার শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কেউই অভুক্ত থাকবে না। তাদের সহায়তায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh