ভারতে একদিনেই করোনায় ৬১৪৮ জনের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২১, ১১:৪০ এএম

ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ফের বেড়েছে। ফাইল ছবি

ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ফের বেড়েছে। ফাইল ছবি

ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনেই ৬ হাজার ১৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা রেকর্ড। এর আগে কোভিডে একদিনে এত মৃত্যু দেখেনি দেশ। 

গত বেশ কয়েকদিন ভারতের দৈনিক সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যাটা নিম্নমুখীই ছিল। এদিন সংক্রমণের সংখ্যাটাও বেড়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধিটা একপ্রকার অবিশ্বাস্য। কারণ লাগাতার বেশ কয়েকদিন মৃতের সংখ্যা ছিল ৩ হাজারের পাশেপাশে। যদিও হঠাৎ মৃতের সংখ্যায় এই বৃদ্ধির নেপথ্যে দায়ী বিহার। 

আজ বৃহস্পতিবারই (১০ জুন) বিহার সরকারের তরফে মৃতদের তালিকা সংশোধন করা হয়েছে। নতুন তালিকায় মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ৭২ শতাংশ। বিহারে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু দেখানো হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১ জনের। তার জেরেই দেশের মৃত্যু সংখ্যা একলাফে ৩ গুণ হয়েছে।

সকালে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৯৪ হাজার ৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯১ লাখ ৮৩ হাজার ১২১ জন। আর মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। 

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোভিডমুক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৬৭ জন। নতুন করে অ্যাকটিভ কেস কমেছে প্রায় ৫৫ হাজারের কাছাকাছি। যার ফলে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে ১২ লাখের নিচে। দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫২ জন। ইতিমধ্যেই ভারতে ২৩ কোটি ৯০ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৬০ জনকে টিকা দেয়া হয়েছে। নিয়মিত বাড়ছে করোনা পরীক্ষার হারও।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে টিকা হয়ে উঠবে অন্যতম হাতিয়ার, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু করোনার ভারতীয় বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কাজ করছে না কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড টিকা। ভারতের চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স (এআইআইএমএস) ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (এনসিডিসি) পৃথক দুই গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই গবেষণা কতটা সঠিক সেই বিষয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।

গবেষণায় মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ের বিভিন্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন এমন ৬৩ জন রোগীর তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে দেখা গেছে, আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৫৩ জন কোভ্যাক্সিনের অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন এবং বাকি ১০ নিয়েছেন কোভিশিল্ডের টিকা। কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের দুই ডোজ নিয়েছেন- এমন রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৬ জন।

গবেষণা প্রতিবেদনে এআইআইএমএস জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ডের টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ডেল্টায় আক্রান্ত হওয়ার শতকরা হার ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ। দুই ডোজ নিয়েছেন- এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার শতকরা হার ৬০ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ডেল্টা বা করোনার B.1.617.2 স্ট্রেন মোকাবিলায় প্রবীণ নাগরিকদের ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ দেয়া প্রয়োজন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh