নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২১, ০৩:৫৬ পিএম | আপডেট: ১০ জুন ২০২১, ০৪:২২ পিএম
নির্বাচন কমিশনের লোগো।
করোনাভাইরাসের উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন এলাকা খুলনা বিভাগের সব ইউনিয়ন পরিষদ, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার ইউনিয়ন পরিষদসহ মোট ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আপাতত ৯ পৌরসভায় ভোট হবে না এবং তিন সংসদ উপনির্বাচন পেছানো হয়েছে। তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুন) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা এলাকাগুলোয় ভোট না করার জন্য চিঠি দিলে কমিশন এ বৈঠকে বসে। একাদশ জাতীয় সংসদের সিলেট-৩, ঢাকা-১৪, কুমিল্লা-৫ ও লক্ষ্মীপুর-২ শূন্য আসনের নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খন্দকার বলেন, বাগেরহাট জেলায় ৬৮টি, খুলনা জেলায় ৩৪টি, সাতক্ষীরা জেলায় ২১টি, নোয়াখালী জেলায় ১৩টি, চট্টগ্রাম জেলায় ১২টি ও কক্সবাজার জেলায় ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ষোষিত ১১টি পৌরসভার মধ্যে দিনাজপুর জেলা সেতাবগঞ্জ ও ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি পৌরসভার নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। অন্য ৯টি পৌরসভা করোনার উচ্চঝুঁকি সম্পন্ন এলাকায় হওয়ায় এসব পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রচারের জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলো করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সরকার ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে লকডাউন দিয়েছে। সেসব জেলার শতাধিক ইউপিতে ভোটের তফসিল দিয়েছে ইসি।
এদিকে আগামী ১৪ জুলাই অনুষ্ঠেয় সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল আংশিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন তফসিল অনুযায়ী ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ জুলাই।