ঢাকা-১৪ উপনির্বাচন: কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি?

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২১, ০৯:১৬ পিএম | আপডেট: ১০ জুন ২০২১, ০৯:২৪ পিএম

আগামী ২৮ জুলাই ঢাকা-১৪ আসনে উপনির্বাচনের ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আগামী ২৮ জুলাই ঢাকা-১৪ আসনে উপনির্বাচনের ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আগামী ১৪ জুলাই ঢাকা-১৪ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ২৮ জুলাই ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে নিজ নিজ দলের পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। 

আসনটি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। বিশাল আয়তনের এই আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৬ হাজার ৫৩৪ জন।

তবে জাতীয়ভাবেই ঢাকা-১৪ আসনের গুরুত্ব অনেক থাকায় এ আসন নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। সর্বত্র আলোচনা একটাই- এ আসনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি? দলটির মধ্যেও এ আসনে নৌকার প্রার্থী নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। তফসিল ঘোষণার আগেই অনেকে নিজেকে ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে দলের যোগ্য প্রার্থী মনে করে প্রচারণা করতে দেখা গেছে। 

তবে এ আসনে কে নৌকার টিকিট পাচ্ছেন তা চূড়ান্ত করতে শনিবার প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই তিন আসনের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। 

জানা গেছে-আসলামুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা-১৪ উপনির্বাচন ঘিরে  ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় এসেছে। এর মধ্যে রয়েছেন- প্রয়াত আসলামুল হকের স্ত্রী মাকছুদা হক, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী ও সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনসহ ৩৩ জন।

তবে স্থানীয়দের চাহিদা, জনবান্ধব সাংসদ। স্থানীয়দের মতে, ক্ষমতাসীন দল থেকে হোক বা স্বতন্ত্র হোক, নাগরিক বান্ধব সংসদ সদস্য কামনা করছেন।

এদিকে, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার সুবাদে স্থানীয় যুবলীগের সমর্থন পাচ্ছেন মাইনুল হোসেন খান নিখিল। পাশাপাশি করোনাকালে সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত জায়গা থেকে স্থানীয় দারিদ্রপীড়িত মানুষকে সহযোগিতা করে নিজের অবস্থান অনেকটাই সুদৃঢ় করেছেন এই যুবলীগ নেতা।

দলের মনোনয়ন পেতে চান সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন। করোনাকালে তাকে ব্যক্তি উদ্যোগে মানবিক কাজে দেখা গেছে। এছাড়া আলোচনায় আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আগা খান মিঠু ও দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মাজহারুল আনাম।

এদিকে আওয়ামী লীগে কোনো সাংগঠনিক পরিচয় না থাকায় দলটির মনোনয়ন ফরম কিনতে এসেও ফিরে যেতে হয়েছে অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল এবং ইখলাস মোল্লাকে। এখলাস মোল্লা এর আগে ঢাকা-১৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি পদে লড়ে পরাজিত হয়েছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh