বগুড়ায় নির্মিত হচ্ছে পাখিদের অভয়াশ্রম

এইচ আলিম

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২১, ০৮:৫৮ এএম

সরকারিভাবে গড়ে তোলা বারামখানা

সরকারিভাবে গড়ে তোলা বারামখানা

পাখি আসছে পাখি যাচ্ছে। এ ডালে সেই ডালে উড়ছে। কিচির মিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার গড়ফতেপুর গ্রামে সরকারিভাবে গড়ে তোলা বারামখানা। পথচারীদের জন্য বিশ্রামখানা গড়ে তোলা স্থানের নাম দেওয়া হয়েছে বারামখানায়। আর এই বারামখানাটি এক বিঘাজুড়ে। শতাধিক বিভিন্ন ফলদ ও বনজ গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন করা হয়েছে। আর বৃক্ষের ডালে ডালে প্রায় অর্ধশত কলস বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই কলসের মধ্যেই সংসার পেতেছে পাখিরা। 

গাছগাছালি ও ছায়াঘেরা এলাকাটিতে পথচারীদের বিশ্রামের জন্য বছরখানেক আগে স্থাপন করা হয় চৌচালা বিশ্রামখানা ‘বারামখানা’। স্থানীয় লালন গবেষক ড. আজাদুর রহমানের সহযোগিতায় সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুর আলমের তত্ত্বাবধানে সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয় বিশ্রামের জন্য ‘বারামখানা’। 

বারামখানার পাশেই রয়েছে বিশাল মাঠ। মাঠে মাঠে কৃষক ফসল ফলায়। আর তার চারপাশ ফুল ফলের বৃক্ষরাজি দিয়ে ভরে উঠেছে। সেখানে পাখিদের অবাধ বিচরণের জন্য আরো কিছু গাছ রোপণ করা হয়। পাখিদের নিরাপদে বসবাসের জন্য মাটির কলসি গাছে বেঁধে দেওয়া হয়। সেই কলসির মধ্যে বেশ কিছু পাখি খড়কুটো দিয়ে বাসা বেঁধেছে। অল্পদিনেই পাখিদের প্রাকৃতিক অভয়ারণ্যে পরিণত হয় বারামখানা। 

‘পরিবেশ উন্নয়ন পরিবার’ এর সভাপতি ইমরান এইচ মণ্ডল জানান, ‘পরিবেশ-প্রতিবেশ সুন্দর রাখতে ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আমাদের এ উদ্যোগ। যেহেতু বারামখানা চত্বরটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত একটি স্থান এবং আগে থেকেই এখানে পাখিদের বিচরণ রয়েছে, সেখানে গঠনের পাখিদের বৃহৎ অভয়াশ্রম করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার প্রভাষক ইকবাল কবির লেমন জানান, আগের থেকে এখন ওই গ্রামে অনেক বেশি পাখি আসে। আগে এত পাখি দেখা যেত না। পাখিগুলো সকালে আর সন্ধ্যার আগে সবচেয়ে বেশি কিচির মিচির করে। বাকি সময় পাখিগুলো বিভিন্ন মাঠে মাঠে খাবার সংগ্রহ করে থাকে। এলাকার মানুষও পাখিগুলোর যত্ন নেয়। ছোট বড় কেউ পাখিগুলোকে আঘাত করে না। বিশ্রামাগারে সকলেই বসতে পারে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh