নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২১, ০৩:১০ পিএম | আপডেট: ১১ জুন ২০২১, ০৯:২৪ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরামের নেতারা।
বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ ৮ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম। শুক্রবার (১১ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ফোরামের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান তাদের দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হল, গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমানো, এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি বাস্তবায়ন, সব পদে পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখা, সচিবালয়ের ন্যায় পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন করা, সব ভাতা চাহিদা অনুযায়ী সমন্বয় করা, বেতনভোগীদের জন্য রেশন, শতভাগ পেনশন চালু, পেনশন গ্রাচুইটি হার এক টাকা সমান ৫০০ টাকা করা ও কাজের ধরণ অনুযায়ী পদের নাম ও গ্রেড একীভূতকরণ।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে একজন অফিস সহায়ক পর্যন্ত সবাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, যারা ২০টি গ্রেডে বিভক্ত। এর মধ্যে ১১-২০তম গ্রেডভুক্ত কর্মচারীরা বরাবরই বৈষম্যের শিকার।
তারা বলেন, সর্বশেষ ৮ম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণার প্রাক্কালে পুনরায় বৈষম্যের শিকার হলেন এই গ্রেডের কর্মচারীরা। বেতন দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়ে বাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা হলো একদিকে, অন্যদিকে এ ঘোষণার আড়ালে টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড বাতিল করে বঞ্চিত করা হলো কর্মচারীদের।
বক্তারা আরো বলেন, ৮ দফা দাবিতে এ আন্দোলন দীর্ঘ দিন ধরে চলছে। এর আগে কর্মবিরতি, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আগামী ১৮ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হবে এবং সেখানে আন্দোলনের কঠোর কর্মসুচি ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কার্যকরী সভাপতি কাজী ফাহাদুর রহমান রাজু, সিনিয়র সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম খান, সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. মোফাজ্জল হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম মামুন ও মো. আবুল হোসেন।