নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১ জুন ২০২১, ০৩:৫৯ পিএম
চীনের উপহারের আরও ৬ লাখ ডোজ করোনা টিকা রবিবার ঢাকায় পৌঁছাবে।
চীনের উপহারের আরও ৬ লাখ ডোজ করোনা টিকা রবিবার ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত হুয়ালং ইয়ান। এরই মধ্যে উপহারের টিকাগুলো বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১২ মে চীন থেকে দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মার তৈরি পাঁচ লাখ টিকা উপহার হিসাবে ঢাকায় পৌঁছায়। ২৫ মে যার প্রয়োগ শুরু করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, চীন থেকে দেড় কোটি টিকা কিনবে বাংলাদেশ। মাসে ৫০ লাখ করে এই টিকা আসার কথা রয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে দেশে করোনার টিকা কর্মসূচি শুরু হয়। সিরাম থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি হলেও মহামারির কারণে ভারত টিকা রফতানি বন্ধ করে দিলে সরকার টিকার জন্য চীনের সাথে যোগাযোগ শুরু করে।
সবশেষ চীনের দ্বিতীয় টিকা হিসেবে বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস কোম্পানির তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা। এর বাইরে রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভি টিকা আমদানি এবং যৌথ উৎপাদনের বিষয়েও আলোচনা চলছে।
শিগগিরই করোনা টিকার যৌথ উৎপাদনের ঘোষণা আসছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। যে দেশের সঙ্গে উৎপাদন, এদেশীয় প্রতিষ্ঠান ঠিক করবে তারাই। এছাড়া অক্সফোর্ডের টিকা প্রশ্নে তিনি বলছেন, অনেক দেশই টিকা দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছে তবে কখন তা বলছে না।
এদিকে ফিলিস্তিনের নাগরিকদের জন্য ঔষধ শিল্প সমিতির দেয়া ৪০ লাখ টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম দেশটির রাষ্ট্রদূতের হাতে তুলে দিয়ে টিকার উৎপাদন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, চীন ও রাশিয়া থেকে শুধু করোনার টিকা কেনাই নয় যৌথভাবে তাদের টিকা উৎপাদন নিয়েও আলোচনা করছে বাংলাদেশ। শিগগিরই টিকা উৎপাদনে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ নানা দেশেই অক্সফোর্ডের অব্যবহৃত টিকা আছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগও করছে ঢাকা। তবে কোন দেশ কবে নাগাদ টিকা দেবে তা পরিস্কার করে বলছে না।