সাতক্ষীরায় শনাক্তের হার ৫৫%, লকডাউন বাড়ল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২১, ০৫:৪০ পিএম

সাতক্ষীরায় লকডাউন চলাকালীন দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় লকডাউন চলাকালীন দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণের হার ৫৫ শতাংশ হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ ১৭ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। লকডাউনের আওতায় থাকলেও সাতক্ষীরার বিভিন্ন গ্রামে বিধি-নিষেধ মানা হচ্ছে না। এর ফলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার উপসর্গ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামের বাসিন্দারা এসব উপসর্গকে ‘সিজন্যাল অসুখ’ মনে করছেন। তারা হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের কাছে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে গ্রামাই চিকিৎসকের দেয়া ওষুধ খাচ্ছেন। করোনা উপসর্গ দেখা দিলেও গ্রামের মানুষ নানা ধরনের সামাজিক কারণ দেখিয়ে তা চেপে রাখছেন। তারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই হাটে-বাজারে স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করছেন। 

এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব বেশি। লকডাউনের বিধি-নিষেধ মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে গ্রামে গেলে তারা মাস্ক ব্যবহার করেন। কিছু সময় পর তারা মাস্ক খুলে ফেলছেন।

তিনি জানান, করোনা সংক্রমণরোধে গ্রামে গ্রামে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হলেও গ্রামবাসী তার তোয়াক্কা করছেন না। ফলে সর্দি-কাশিসহ নানা উপসর্গ ছড়িয়ে পড়েছে। 

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, সাতক্ষীরায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ২৩৯ জন। মৃতদের বেশিরভাগই গ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তারা রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রামে আসার পর আক্রান্ত হন করোনায়। এভাবেই গ্রামে গ্রামে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে।

সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন সোনাবাড়িয়া, কেড়াগাছি, কুশখালি, বৈকারি, ঘোনা, ভোমরা, দেবহাটাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা উপসর্গ। অথচ তারা করোনা পরীক্ষা কিংবা চিকিৎসা গ্রহণ করছেন না।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত বলেন, বৃহস্পতিবার ২১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করার পর ২০০টি পরীক্ষা করে ১১১ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। শনাক্তের হার ৫৫ শতাংশেরও বেশি। এমন অবস্থায় লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।

শুক্রবার সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের প্রথম দফা শেষ হচ্ছে। পুলিশ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন ও বিনা কারণে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করলেও গ্রাম এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের ভোমরা স্থল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকরা পুলিশ ও বিজিবির বাধা সত্ত্বেও খোলামেলাভাবে চলাফেরা করছেন। এতে বেড়ে যাচ্ছে করোনা ঝুঁকি।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh