করোনা আতঙ্কে সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকা

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২১, ১০:০৩ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের ১১টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘিরে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত। এসব সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে ভারতীয় করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। একটু অসচেতন হলেই বাংলাদেশ ভারতের মতো পরিস্থিতির শিকার হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তাই স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে করোনার সংক্রমণ রোধে কঠোর প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা দাবি জানিয়েছেন জেলার সর্বস্তরের মানুষ। 

জেলার তাহিরপুর উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ বাগলী, বড়ছড়া, চারাগাঁও তিনটি শুল্ক স্টেশন রয়েছে। এগুলো দিয়ে ভারত থেকে ট্রাক দিয়ে কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি হয়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এসব শুল্ক বন্দরগুলোতে আমদানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারীর সঙ্গে বাংলাদেশি যাতে মিশতে না পারেন সে জন্য নানা ভাবে লোকজনকে সচেতন করা হচ্ছে। মানুষ যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ না করেন এবং ভারত থেকে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারেন সে জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্ত এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সতর্ক থাকতে লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এবং সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। 

মেঘালয় পাহাড় সংলগ্ন চানপুর, রাজাইসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ জানান, ভারতের করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতংক আমাদের সীমান্তে বসবাসকারীদের মাঝে বিরাজ করছে। কখন জানি কি হয়। তবে আমরা সবাই সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করে চলাচল করছি। প্রশাসন, বিজিবি ও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীলদের আরও গুরুত্ব সহকারে কাজ করার আহবান জানান। 

তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা উত্তর বড়দল ইউনিয়ন স্থানীয় বাসীন্দা মাসুক মিয়া জানান, এখন ভারতের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা আমরা সীমান্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে লোকজনকে জানিয়েছি। উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ তিনটি শুল্ক বন্দরের আমদানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও ভারত থেকে কেউ যাতে বাংলাদেশে আসতে না পারে সে জন্য আমাদের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনও সতর্কতার সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় কঠোর নজরদারি রাখছে।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বলেছেন, এ উপজেলা সীমান্তবর্তী হলেও আমরা শুরু থেকেই লোকজনকে এ বিষয়ে সচেতন করছি যার ফলে আমাদের সার্বিক পরিস্থিতি এখনো ভালো। আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক কম। সবাইকে নিজনিজ অবস্থান থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। 

সুনামগঞ্জে বিজিবির ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল তাসলিম এহসান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বিজিবির সঙ্গে বিএসএফের যে কার্যক্রম রয়েছে, সেটাও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরিচালিত হচ্ছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh