মাফিয়া হুমকির পরে ‘দুর্ঘটনায়’ সাংবাদিকের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২১, ০১:৪৩ পিএম

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

লিকার মাফিয়াদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারতের উত্তর প্রদেশের এক টিভি সাংবাদিক সুলভ শ্রীবাস্তব ‘দুর্ঘটনায়’ নিহত হয়েছেন।

সুলভ কাজ করতেন এবিপি গঙ্গায়। তিনি লিকার মাফিয়া নিয়ে রিপোর্টিং করেছিলেন। তারপরই তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন, মাফিয়ারা তাকে হুমকি দিচ্ছে। তার জীবনের ঝুঁকি আছেো। এরপরই গতকাল রবিবার (১৩ জুন) রাতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে।

প্রতাপগড়ের পুলিশ সুপার সুরেন্দ্র দ্বিবেদী জানিয়েছেন, সুলভ শ্রীবাস্তব মিডিয়া কভারেজের পর রাত ১১টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন। একটা ইটভাটার কাছে ট্রাকের ধাক্কায় তিনি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। কয়েকজন শ্রমিক দেখতে পেয়ে তাকে ধরে তোলেন। তার ফোন থেকে তিনি সুলভের বন্ধুদের ফোন করেন ও অ্যাম্বুলেন্সও ডাকেন। তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তিনি আরো বলেন, মোটরসাইকেলে সুলভ একা ছিলেন। তার বাইকের সাথে একটা ট্রাকের ধাক্কা লাগে। তাতেই তিনি পড়ে যান। পুলিশ বিষয়টি সবদিক থেকে তদন্ত করে দেখছে।

তবে মৃত সাংবাদিকের ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, তিনি রাস্তায় পড়ে আছেন। তার মুখ ক্ষতবিক্ষত, তার শার্ট খুলে গেছে, শার্টের বোতামও খোলা এবং প্যান্টও খোলা ও নামানো।

পুলিশকে শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, তিনি মনে করছেন- মাফিয়ারা তাকে হত্যা করতে পারে। তার সেই চিঠিও অনেক সাংবাদিক সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।

শ্রীবাস্তব চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘লিকার মাফিয়া নিয়ে একটা রিপোর্ট গত ৯ জুন আমার চ্যানেলের নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছিল। তারপরই আমি বাড়ি থেকে বেরলেই মনে হয়, কেউ আমাকে অনুসরণ করছে। আমার সূত্ররা আমাকে জানিয়েছে, লিকার মাফিয়ারা রিপোর্ট প্রকাশের পর খুবই ক্ষুব্ধ। ওরা আমার ক্ষতি করতে পারে। আমার পরিবারও খুবই উদ্বিগ্ন।’

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা প্রেম প্রকাশ এবিপি নিউজকে জানিয়েছেন, তিনি এই চিঠির বিষয়টি জানতেন। তিনি স্থানীয় পুলিশকে বলেছিলেন- শ্রীবাস্তবের বিপদের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী টুইট করে বলেছেন, ‘লিকার মাফিয়ারা হত্যা করল, অথচ, সরকার চুপ। সাংবাদিকরা সত্য প্রকাশ করতে অস্বস্তিকর প্রশ্ন করছে। আর সরকার ঘুমাচ্ছে।’ - ডয়চে ভেলে

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh