ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২১, ১০:৫৮ এএম
পরিবারের সাথে জিয়োন চানা। ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস
বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবারের কর্তা জিয়োন চানা আর নেই। গত রবিবার (১৩ জুন) তিনি ৭৬ বছর বয়সে মারা যান। তিনি ৩৮ জন স্ত্রী ও ৯৪ জন সন্তানের বাবা ছিলেন। সেইসাথে পরিবারে আছে অসংখ্য নাতি-নাতনি।
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার দুপুর ৩টার দিকে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ সংক্রান্ত কারণে জিয়োনার মৃত্যু হয়েছে। ভারতের মিজোরামের রাজধানী আইজলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
জিয়োনার মৃত্যুর পর টুইট করেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। তিনি লেখেন, ‘দুঃখের সাথে মিস্টার জিয়োনাকে (৭৬) শেষ বিদায় জানাচ্ছে মিজোরাম। ৩৮ জন স্ত্রী ও ৮৯ জন সন্তানসহ যিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবারের প্রধান ছিলেন বলে মনে করা হয়। তার পরিবারের জন্য মিজোরাম ও বক্তওয়াং ল্যাংনুয়াম গ্রাম পর্যটকদের বড়সড় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। আত্মার চিরশান্তি কামনা করি।’
মিজোরামের চানা পাউল নামে একটি খ্রিস্টান গোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন জিয়োনা। যা ১৯৪২ সালে তৈরি করেছিলেন তার বাবা। সেই গোষ্ঠী বহুবিবাহের প্রথায় বিশ্বাসী। সেই গোষ্ঠী তৈরি হওয়ার তিন বছর পর ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জিয়োনা। ১৭ বছরে প্রথম বিয়ে করেছিলেন। তিন বছরের বড় ছিলেন স্ত্রী। তারপর একাধিকবার বিয়ে করেছিলেন। ২০০৪ সালে শেষবার বিয়ে করেছিলেন জিয়োনা।
পরিবারের সব সদস্য যাতে একসাথে থাকতে পারেন, সেজন্য গ্রামেই একটি চারতলা বাড়ি তৈরি করেছিলেন তিনি। তাতে শতাধিক ঘর আছে। সেখানে তার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা থাকেন। জিয়োনার মেয়েরা অবশ্য নিজেদের স্বামী ও পরিবারের সাথে অন্যত্র থাকেন। সবমিলিয়ে জিয়োনার পরিবারের ১৮০ জনের বেশি সদস্য আছেন। ২০১৪ সালে একটি বিজ্ঞাপনেও দেখা গিয়েছিল জিয়োনার পরিবারকে।
ভারতে হিন্দু ও খ্রিস্টানদের মধ্যে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ। কিন্তু মিজোরামে কয়েকটি উপজাতিকে ছাড় দেয়া হয়েছে। তারা বহুবিবাহ করতে পারে।
২০১১ সালে জিয়োনা রয়টার্সকে বলেছিলেন, তিনি তার পরিবারকে আরো বাড়াতে রাজি। তিনি আবার বিয়ে করতে চান। তাকে এতজনের দেখভাল করতে হয় বলে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করেন। - ডয়চে ভেলে ও হিন্দুস্তান টাইমস