ভারত থেকে এলএনজি গ্যাস আমদানি করবে বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২১, ১২:২৬ এএম | আপডেট: ১৮ জুন ২০২১, ১২:৩০ এএম

তরলীকৃত গ্যাস জাহাজে তোলা হচ্ছে। ছবি: বিবিসি

তরলীকৃত গ্যাস জাহাজে তোলা হচ্ছে। ছবি: বিবিসি

ভারত থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি আমদানি করবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই ভারতের বেসরকারি সংস্থা এইচ-এনার্জির সঙ্গে পেট্রোবাংলার মধ্যে এক সমঝোতা-পত্র সই হয়েছে।

পরের ধাপ হিসাবে দীর্ঘমেয়াদে পেট্রোবাংলাকে রিগ্যাসিফায়েড এলএনজি সরবরাহের জন্য পূর্ণাঙ্গ চুক্তি নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে বলে এইচ-এনার্জির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তাও বিষয়টি স্বীকার করছেন বলে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি চূড়ান্ত হলে এটাই হবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রথম এলএনজি আমদানির চুক্তি।

এইচ-এনার্জির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার পেট্রোবাংলার সঙ্গে ওই সমঝোতা পত্রে তারা সই করেছে। পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিবিসির কাছে এই সমঝোতা সই হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

এইচ এনার্জির প্রধান নির্বাহী দর্শন হীরানন্দানি বলেছেন, ‘‘ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে জ্বালানি শক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার এটা একটা মাইল ফলক। প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র সবই যোগাড় হয়েছে এরপর খুব দ্রুত এই প্রকল্প রূপায়নের দিকে এগিয়ে যাব আমরা।’’

এই সংস্থাটি পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন বসানো এবং তা ব্যবহার করার ছাড়পত্র আগেই পেয়েছে ভারতের পেট্রোলিয়াম এন্ড ন্যাচারাল গ্যাস রেগুলেটরি বোর্ডের থেকে। জানা গেছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কানাই চট্টায় তাদের এলএনজি টার্মিনাল থেকে নদীয়ার শ্রীরামপুর অবধি নিজস্ব পাইপলাইন দিয়েই পেট্রোবাংলাকে গ্যাস দেয়া হবে। এই গ্যাস মূলত বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করবে পেট্রোবাংলা।

এইচ-এনার্জি নামের মুম্বাই ভিত্তিক সংস্থাটি এখন মহারাষ্ট্রের জয়গড় বন্দরে ভারতের প্রথম ভাসমান স্টোরেজ এবং রিগ্যাসিফিকেশান টার্মিনাল তৈরি করেছে। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও সংস্থাটি একটি সমঝোতা-পত্র সই করেছে, যার মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও একটি এলএনজি টার্মিনাল তৈরি করবে। এই টার্মিনাল থেকেই এলএনজি বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh