ফয়সাল শামীম
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২১, ০১:০৩ পিএম
খামারে শৈবাল উৎপাদন
স্পিরুলিনা একটি সামুদ্রিক শৈবাল। মানবদেহ তথা চিকিৎসা বিজ্ঞানে রয়েছে এর বিশেষ অবদান। পুষ্টিগুণে ভরা এ শৈবালকে গ্রিন ডায়মন্ডও বলা হয়ে থাকে। দেশ তথা বিশ্বব্যাপী এ শৈবালটির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে এর উৎপাদন হয় না বললেই চলে। এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ৭ উদ্যোক্তা শুরু করেছেন খামারে শৈবাল উৎপাদন। সফলতাও পেতে শুরু করেছেন তারা।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার প্রাণকৃষ্ণ গ্রামের একটি বাড়ির উঠানে ১২ শতক জমির ওপর তৈরি করা গ্রিন হাউসে সামুদ্রিক শৈবাল স্পিরুলিনার চাষ শুরু করেছেন স্থানীয় ৭ উদ্যোক্তা। ঢাকা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ ও মা স্পিরুলিনা সংগ্রহ করে এক মাস আগে তারা ফুলবাড়ী এগ্রো কোম্পানি নামের খামারে এর কার্যক্রম শুরু করেন। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে স্পিরুলিনার উৎপাদন।
উদ্যোক্তারা জানান, বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের চাহিদা মেটাতেও কাজ করবেন তারা। উদ্যোক্তা এরশাদুল হোসেন জানান, মানব দেহের উপকারী সামুদ্রিক এ শৈবালটি প্রাকৃতিকভাবে সাগরে তৈরি হলেও খামারে উৎপাদিত শৈবাল একই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এই খামার থেকে প্রতি সপ্তাহে ৩০ হাজার টাকা ব্যয়ে উৎপাদন হচ্ছে ২০ কেজি স্পিরুলিনা। যার প্রতি কেজির মূল ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। আর এক উদ্যোক্তা মাসুদ রানা এ অঞ্চলে এটি প্রথম খামার হওয়ায় কৃষি বিভাগের কারিগরি দিক ও বিপণন ব্যবস্থায় সার্বিক সহায়তা করার কথা জানান।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রশিদ বলেন, খাদ্য পুষ্টি ও ঔষধ শিল্পে প্রয়োজনীয় এ শৈবালে রয়েছে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-ডি ও বিটা ক্যারোটিন। এটি পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি শারীরিক নানা রোগেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে বলে জানান তিনি।
সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা নাসির উদ্দিন বলেন, দেশেই ব্যাপকভাবে এ শৈবাল উৎপাদন করা গেলে একদিকে যেমন কমবে আমদানি নির্ভরতা অন্যদিকে দেশীয় অর্থনীতিতে যোগ হবে নতুন মাত্রা।