উসিথোয়াই মারমা
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২১, ০১:১৫ পিএম
এবার কাজু বাদামের ফলন কম হয়েছে
বান্দরবান জেলায় এবার কাজু বাদামের ফলন কম হয়েছে। গাছে ভালো মুকুল এলেও সে পরিমাণে ফল ধরেনি। এর সঙ্গে এ বছর দাম কম হওয়ায় হতাশার কথা জানিয়েছেন চাষিরা।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-পচিালক ড. একেএম নাজমুল হক বলেন, কাজু বাদামের দাম সবসময় মানসম্পন্ন ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে। এ বছর গাছে ফুল আসার সময় স্বাভাবিক বৃষ্টিটুকু ছিল না, যার কারণে অনেকটাই ঝরে গেছে। যেগুলো ফল হিসেবে এসেছে সেগুলোও হয়তো মানহীন। কাজু বাদাম যেটা বাদাম হিসেবে খাওয়ার অংশ সেটাকে নাট বলা হয়। এগুলো ভালো করে রোদে শুকাতে হয়। মান ও আকারে বড় থাকলে তখন দামও ভালো পাওয়া যায়। ভালো ফুল ও নাটের জন্য গাছের গোড়ায় সার প্রয়োগ করতে হয়। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য স্প্রেও করতে হয়।
সম্প্রতি রোয়াংছড়ি উপজেলার সদরে সুয়ানলু পাড়ায় সরেজমিনে গেলে কাজু বাদাম চাষিরা জানান, এ পাড়ার অধিকাংশ পরিবার কাজু বাদাম চাষি। গত বছরের চেয়ে এবার কম দাম পাচ্ছেন তারা। অনেকেই আগামী বছর ভাল দাম পাওয়ার আশায় শুকিয়ে ঘরেই রেখে দিচ্ছেন কাজু বাদামগুলো।
এ পাড়াবাসী রাওলম বম জানান, তার পাঁচ একরের জায়গায় দুইশ’ গাছ রয়েছে। যখন মুকুল ভালোই আসছিল এমন সময় হালকা বৃষ্টি দরকার ছিল। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় ভাল ফল ধরেনি। গেল বছর পাঁচ মণ নাটের (বাদাম হিসেবে খাওয়ার অংশ) জায়গায় এবার মাত্র ৩ মণ পেয়েছেন তিনি। এতেও মণ প্রতি দুই হাজারের বেশি বিক্রি হয় না।
মানভেদে দাম তারতম্য থাকলেও কাজু বাদাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি সম্ভাবনা কৃষি পণ্য জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপপরিচালক ড. একেএম নাজমুল হক জানান, কাজু বাদামের জন্য এ বছর থেকে ২১১ কোটির একটা প্রকল্প শুরু হচ্ছে। এ প্রকল্পে চাষিদের বিনামূল্যে চারা বিতরণ ও কাজু বাদাম প্রদর্শনী, বিনামূল্যে সার বিতরণ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।