ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২১, ০৫:০২ পিএম
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাফতরিক কাজ করলে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের সুযোগ বাড়ে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাফতরিক কাজ করলে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের সুযোগ বাড়ে। এছাড়া, মেসেঞ্জার বা টিকটকের মত অ্যাপ ব্যবহার করলে ব্যক্তি ফোনের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়। নিরাপদ যোগাযোগে সরকারি কর্মকর্তাদের আলাদা অ্যাপ তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
ফেসবুক মেসেঞ্জার বা হোয়াটস অ্যাপ বর্তমান ডিজিটাল যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম। এগুলো মোবাইল ফোনে ইনস্টল করে ব্যবহার করতে দিতে হয় কয়েকটি ব্যক্তিগত তথ্য। এতে অ্যাপ জানতে পারে ব্যক্তির অবস্থান, দেখতে পারে সেই ফোনের ছবি ও সংরক্ষিত ফোন নম্বরগুলো।
অভিযোগ আছে, তৃতীয় পক্ষের কাছে এসব তথ্য বিক্রিও করছে অনেক প্রতিষ্ঠান। ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারায় ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুককে ৪২ হাজার কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তা, মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যদের মোবাইল ফোনে থাকা তথ্য ফাঁস হলে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক তানভীর হাসান জোহা বলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাপ তৈরি করা প্রয়োজন।
দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক রয়েছে ১০ কোটি। আর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট আছে অগণিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বাংলাদেশের জন্যই তৈরি হতে পারে আলাদা অ্যাপ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন এর মতে, বিষয়ে যথাযথ সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে পাঁচশ কোটি ডলার জরিমানা গুণতে হবে। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকারও ওপরে।