নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২১, ০৯:৫৮ পিএম | আপডেট: ১৮ জুন ২০২১, ১০:০৭ পিএম
টিকার ঘাটতি মেটাতে সরকার নানামুখী তৎপরতা চালানোর কথা বলছে। ছবি: বিবিসি
দীর্ঘ বিরতির পর শনিবার (১৯ জুন) থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া আবার শুরু হচ্ছে। চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা দিয়ে ৫ লাখ মানুষকে টার্গেট করে টিকা দেয়া শুরু করবে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বর্তমানে দেশে ১১ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে সিনোফার্মের আর ফাইজারের টিকা রয়েছে এক লাখ। স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে কবে নাগাদ গণটিকাদান কর্মসূচি আবার শুরু করা যাবে সে ব্যাপারে এখনি জানা যায়নি। এদিকে, গণটিকাদান কর্মসূচি এখনো অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন।
তবে নতুন করে নিবন্ধন করা বন্ধ থাকলেও সরকার শনিবার থেকে চীনের দেয়া সিনোফার্মের টিকা দিয়ে টিকাদান কার্যক্রম আবার সীমিতভাবে হলেও শুরু করতে যাচ্ছে।
কারা পাচ্ছেন সিনোফার্মের এই টিকা
স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো। শামসুল হক জানাচ্ছেন, চীন দুই দফায় বাংলাদেশকে যে ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দিয়েছিল সেটা দিয়ে শুরু হচ্ছে টিকা কার্যক্রম। তবে সেটা সবার জন্য নয়।
শামসুল হক জানান, এই ১১ লাখ ডোজ টিকার জন্য ৫ লাখ মানুষকে টার্গেট করা হয়েছে, যাতে করে তাদের দুই ডোজ টিকা দেয়া সম্পন্ন করা যায়।
‘আমাদের খুব পরিষ্কার পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা ৫ লাখ মানুষকে দুইটা ডোজের টিকা দিয়ে কমপ্লিট করবো। এখানে আগে যারা নিবন্ধন করে রেখেছেন তারা অগ্রাধিকার পাবেন।’
‘এর সাথে প্রবাসী শ্রমিক, সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফরা এ টিকায় অগ্রাধিকার পাবেন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরাও এ টিকা পাবেন।’
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ৭০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে ৫৮ লাখ মানুষের কেউ দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন আবার কেউ একটা ডোজ নিতে পেরেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে ১২ লাখ নিবন্ধিত মানুষ যারা এক ডোজ টিকাও পায়নি তাদের লক্ষ্য করে এই সিনোফার্ম টিকার কার্যক্রম চলবে।