করোনায় ই-সিগারেটে ঝুঁকি আরো বেশি : সমীক্ষা

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২১, ১১:৫৪ এএম

ই-সিগারেট

ই-সিগারেট

যারা ধূমপান করেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণে তাদের ঝুঁকি বেশি থাকে। এমন কথা অনেক দিন ধরেই বলছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু যারা ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক সিগারেট খান, তাদের বিপদ আরো বেশি। সম্প্রতি পরিচালিত এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। 

পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপ ও আমেরিকায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের মধ্যে যারা সদ্য ধূমপান শুরু করেন, তাদের অনেকেই ই-সিগারেটে আসক্ত। এতে নিকোটিন ফুসফুসে পৌঁছোয় না; ফলে এটি স্বাস্থ্যের অতটাও ক্ষতি করে না বলে অনেকের ধারণা। কিন্তু বিষয়টি মোটেই তা নয়। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের সিগারেটে তামাকযুক্ত সিগারেটের তুলনায় ক্ষতি বেশি বলেই জানান চিকিৎসকেরা।

‘জার্নাল অব অ্যাডোলেসেন্ট হেলথ’ নামের পত্রিকায় ছাপা সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে কমবয়সীরা তামাকযুক্ত সিগারেট খান, তাদের থেকে ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের করোনা সংক্রমণ এবং তার বাড়াবাড়ি বেশি মাত্রায় হয়। শুধু তাই নয়, এই সমীক্ষাকারী দলের সদস্য চিকিৎসক ফারিবা রেজায়ি জানিয়েছেন, ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের পরবর্তী সময়ে ফুসফুসের সমস্যা আরো দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।

তিনি বলেন, সাধারণ সিগারেটে নিকোটিন থাকে। সেটি ফুসফুসে গিয়ে করোনার সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু ই-সিগারেট থেকে ভিটামিন ই-র বাষ্প তৈরি হয়। ভিটামিন ই এমনিতে শরীরের উপকারে লাগলেও তার বাষ্প ফুসফুসের ক্ষতি করে। আর এটিই বিপদ ডেকে আনছে।

তাছাড়া প্রচলিত ধারণা হলো, ইলেকট্রনিক সিগারেটে ক্ষতি কম। ফলে যারা এগুলো ব্যবহার করেন, তারা মাত্রাছাড়াভাবেই এই সিগারেট মুখে নেন। বারবার মাস্ক সরানো, মুখে হাত দেয়ার ফলেও সংক্রমণ বাড়ে।

এদিকে তাপের মাধ্যমে ই-সিগারেট টিউবে ভেপ জুসের (প্রক্রিয়াজাত তামাকযুক্ত তরল পদার্থ) বাষ্প তৈরি ও তা সেবন করা হয়। ভেপিংয়ে প্রচলিত সিগারেট পানের তুলনায় বেশি মাত্রায় শ্বাস টানতে হয়।

স্বাস্থ্যের ওপর ই-সিগারেটের প্রভাব সম্পর্কিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ই-সিগারেটে ১৫ বার টান দিলে শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১৫ দশমিক ৪ মিলিগ্রাম পর্যন্ত নিকোটিন ফুসফুসে প্রবেশ করে, যেখানে প্রচলিত সিগারেটে সমপরিমাণ শ্বাস নিলে ১ দশমিক ৫৪ থেকে ২ দশমিক ৬০ মিলিগ্রাম নিকোটিন নেওয়া হয়।

২০১৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত গ্লোবাল টোব্যাকো এপিডেমিক প্রতিবেদনটি ই-সিগারেটকে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh