নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২১, ০৭:৪৫ পিএম | আপডেট: ১৯ জুন ২০২১, ০৮:১১ পিএম
সাবেক ডিআইজি প্রিজন্স পার্থ গোপাল বণিক।
ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচার আইনের মামলায় বরখাস্ত হওয়া সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের ভার্চুয়াল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সাবেক এই ডিআইজি প্রিজন্সকে ৮০ লাখ টাকাসহ রাজধানীর ধানমণ্ডির ভূতের গলির বাসা থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই গ্রেফতার করে দুদক। মামলা হয় অর্থপাচার ও ঘুষ নেয়ার অভিযোগে। এরপর একাধিকবার হাইকোর্ট জামিন চান সাবেক এই কারা কর্মকর্তা। তবে, সেই আবেদনে সাড়া না দিয়ে মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত।
গেল বৃহস্পতিবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে জামিন চাইতে আসেন পার্থ গোপাল বণিক। দুপক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। ওই দিন রাত সাড়ে আটটায় তার জামিন আদেশ পৌঁছে কেন্দ্রিয় কারাগারে।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে জামিননামা হাতে পেয়েছেন তারা। পরদিন সকালে কারাগার থেকে পার্থ গোপাল বণিককে নিয়ে যান তার স্ত্রী।
এর আগে ৪ নভেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। তারও আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেয়া এ চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে চার্জ গঠন শুনানির জন্য মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ-১০ আদালতে বদলি করেন।
২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্ত কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।