মহাকাশে পাঠানো হলো স্কুইড

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২১, ১২:৪৬ পিএম

স্কুইড

স্কুইড

যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপ থেকে কয়েক ডজন বাচ্চা স্কুইড গবেষণার জন্য মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। বাচ্চা হাওয়াইয়ান ববটাইল স্কুইডকে হাওয়াইয়ের কেওয়ালো মেরিন ল্যাবরেটরিতে বড় করা হয়েছিল এবং এ মাসের গোড়ার দিকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে স্পেসএক্স পুনর্নির্মাণ মিশনে মহাকাশে প্রেরণ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, মহাকাশ অভিযানের সময় নভোচারীদের দেহে কী ধরনের প্রভাব পড়ে এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা সম্ভব হবে।

গতকাল সোমবার (২১ জুন) হনলুলু স্টার-অ্যাডভাইটাইজার জানিয়েছে, গবেষক জেমি ফস্টার দীর্ঘ মহাকাশ মিশনের সময় মানব স্বাস্থ্যের উন্নতি করার আশায় স্পেসফ্লাইট কীভাবে স্কুইডকে প্রভাবিত করে তা নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বলেন, ‘স্কুইডের প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়াগুলোর সাথে একটি সিম্বিওটিক সম্পর্ক রয়েছে যা তাদের বায়োলুমিনেসেন্স নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মার্গারেট ম্যাকফ্যাল-এনগাই বলেন, নভোচারীরা মহাকাশে যাওয়ার পর মানবদেহে কী ধরনের পরিবর্তন ঘটে সামুদ্রিক প্রাণী স্কুইড পাঠানোর এই মিশন থেকে সে বিষয়ে জানা যাবে।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি যে মানুষের জীবাণুগুলোর সাথে সিম্বিওসিসটি মাইক্রোগ্রাভিটিতে বিভ্রান্ত হয়েছে এবং জেমি দেখিয়েছে যে এটি স্কুইডে সত্য। কারণ এটি একটি সহজ সিস্টেম, কী ভুল হচ্ছে তার নিচে পৌঁছে যেতে পারে।

ফস্টার বলেন, মহাকাশে স্কুইডের কী ঘটে তা বোঝা মহাকাশচারীদের মুখোমুখি হওয়া স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে পারে।

আগামী জুলাই মাসে পৃথিবীতে ফিরে আসবে স্কুইড।

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে তো বহু বছর ধরেই নভোচারীরা যাওয়া আসা করছেন। বেশ কিছুটা সময় ধরে সেখানে বসবাসও করছেন। দেখা গেছে একটা দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার ফলে তাদের শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটছে।

পৃথিবীতে লাখ লাখ প্রজাতির প্রাণী আছে। এসবের মধ্য থেকে সামুদ্রিক প্রাণী বেবি স্কুইড ও আণুবীক্ষণিক প্রাণী টারডিগ্রেডকে কেন বাছাই করা হলো মহাকাশে পাঠানোর জন্য?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্কুইডের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাথে মানুষের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থার মিল রয়েছে। এছাড়াও যে পাঁচ হাজার টারডিগ্রেড পাঠানো হচ্ছে সেগুলো এতোই ক্ষুদ্র যে খালি চোখে দেখা না গেলেও তারা চরম আবহাওয়ার পরিস্থিতিতে অন্য যেকোনো প্রাণীর চেয়ে বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে। -ইউএনবি ও বিবিসি

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh