কৃষ্ণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২১, ০৩:০৪ পিএম
বিধিনিষেধ মানছে না কেউ। ফাইল ছবি
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার শনাক্তের মধ্যে সাতক্ষীরার গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নানা উপসর্গ। বাড়িতে বাড়িতে দেখা দিয়েছে জ্বর সর্দি কাশি গায়ে ব্যথা শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ নানা উপসর্গ। জেলায় সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের মধ্যেও গ্রামজুড়ে এই উপসর্গের কারণে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। লকডাউনের আওতায় থাকলেও ঠিকমতো কেউ বাধা নিষেধ মানছে না। ফলে বাড়িতে বাড়িতে ছড়িয়ে গেছে করোনার নানা উপসর্গ।
গ্রামের বাসিন্দারা এসব উপসর্গকে ‘সিজন্যাল অসুখ’ মনে করছেন। তারা হাসপাতালে কিংবা ডাক্তারের কাছে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে গ্রামের হাতুড়ের দেওয়া ওষুধ খাচ্ছেন। গ্রাম এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন কম খরচে। জরুরি অবস্থা না হলে তারা আর শহরে চিকিৎসা নিতে আসছেনই না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা উপসর্গ দেখা দিলেও গ্রামের মানুষ নানা ধরনের সামাজিক কারণ দেখিয়ে তা চেপে রাখছেন। তারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই হাটে বাজারে এমনকি আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করছেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব বেশি। লকডাউনের বাধা নিষেধ মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে গ্রামে গেলে তারা মাস্ক ব্যবহার করেন। কিছু সময় পর তারা তা খুলে ফেলছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে গ্রামে গ্রামে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হলেও গ্রামবাসী তার তোয়াক্কা করছেন না। ফলে সর্দি কাশিসহ নানা উপসর্গ ছড়িয়ে পড়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ যাবত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ২৩৯ জন। মৃতদের বেশিরভাগই গ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তারা রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রামে আসার পর আক্রান্ত হন করোনায়।